করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিশ্ববাজারে আবারও বাড়তে শুরু করেছে স্বর্ণের দাম। গত এক সপ্তাহে স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবারে বেড়েছে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এতে আবারও আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম ১৯০০ ডলার ছাড়িয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মহামারি করোনাভাইরাস প্রকোপে চলতি বছরের শুরু থেকে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম অস্থির হয়ে ওঠে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) সূত্র বলছে, দেশের বাজারে চলতি সপ্তাহেই বাড়তে পারে স্বর্ণের দাম। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী সোমবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হবে।
ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার কমানোয় এবং নির্বাচনের আগে আমেরিকা ডলার শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা চালানোর মাঝে স্বর্ণের দামে কিছুটা পতন হয়। কিন্তু এখন ইউরোপে দ্বিতীয় ধাপে মহামারি করোনাভাইরাস প্রকোপ বাড়ায় আবার স্বর্ণের দাম বাড়ছে।
বিশ্বজুড়ে রেকর্ড করোনা রোগী শনাক্তের দিনে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামেও বড় লাফ দিয়েছে। একদিনে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৩৫ দশমিক ৭৬ ডলার বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়েছে। এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১৯২৮ দশমিক ৮৫ ডলার।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ইউরোপে করোনার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, কেউ ধারণা করতে পারছে না। অপরদিকে আমেরিকার নির্বাচনও কাছে চলে এসেছে। সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের যে দাম বেড়েছে তাতে বাংলাদেশে ভরিতে ৪ হাজার টাকা বাড়ানো উচিত। স্বর্ণের দাম বাড়ানোর জন্য আমার ওপর এক প্রকার চাপ আসছে। আমরা আগামী সোমবার দেখব। যদি সোমবারও বিশ্বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে আমরা দাম বাড়াবো।
আনন্দবাজার/ইউএসএস