স্থানীয় বাজারে চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানি হচ্ছে দেশীয় ফার্নিচার। গত চার বছরে ফার্নিচার খাতের রফতানি বেড়ে প্রায় দেড় গুণ হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, কাঁচামালের আমদানি শুল্ক কমালে রফতানিতে আরও বড় ভূমিকা রাখবে ফার্নিচার।
অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, অন্য রফতানি শিল্পের মত এ খাতেও যথাযথ তদারকি নিশ্চিত করে কাঁচামাল আমদানিতে বিশেষ শুল্ক সুবিধা দেয়া উচিত।
আধুনিক ও আরামদায়ক জীবন যাপনে ফার্নিচারের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর্থিক সক্ষমতার সাথে ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ ক্রেতায় রেডিমেইড ফার্নিচারের দিকে ঝুঁকছেন। তবে অনেকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন অর্ডার করেও বানিয়ে নেন।
স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে ফার্নিচার রফতানির পরিসংখ্যান নতুন সম্ভাবনার বার্তা দিচ্ছে। আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির ব্যবহারে গড়ে উঠছে বড় আকারের কারখানাও। শ্রমঘন এ শিল্প থেকে চীন ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। তাই সরকারের নীতি সহায়তা পেলে রফতানি বাজার আরও দ্রুত বাড়বে বলে দাবি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের।
হাতিল ফার্নিচারের এমডি সেলিম এইচ রহমান বলেন, ‘কিছু সুবিধা পেলে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর এক্সপোর্ট হওয়া সম্ভব।’
পার্টেক্স ফার্নিচারের সিওও সুশীল চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘ফার্নিচারের মূল কাঁচামালগুলো এই দেশে ইন্ডাস্ট্রি তৈরি না হলে এই খাতকে ভালোভাবে সার্ভ করতে পারবো না।’
ফার্নিচার শিল্পের রফতানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে সম্প্রসারিত করতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পরামর্শ দেন অর্থনীতিবিদ ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা সংস্থা গ্রান্ড ভিউ রিসার্চের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে ফার্নিচারের বিশ্ববাজারের আকার ৫৬০ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছর ফার্নিচার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ১০ কোটি ডলার।
আনন্দবাজার/ইউএসএস