করোনা মহামারির প্রকোপে কমেছে সাধারণ মানুষের আয়। আর এ আয় কমে যাওয়ার ওসিলায় হ্রাস পেয়েছে ভ্যাট দেওয়ার প্রবণতাও। কিন্তু অন্যদিকে আমদানি ও রফতানি খাত থেকে ভালো রাজস্ব আহরণ করেছে সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের (জুলাই- আগস্ট) তুলনায় এই অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আমদানি ও রফতানি খাতে সরকারের আয় বেশি হয়েছে, যার পরিমাণ ৪৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, গত বছরের জুলাই ও আগস্ট এই দুই মাসে আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে সরকারের আয় হয়েছিল ৮ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। এই বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে সরকার এ খাত থেকে তার চেয়ে ১০৫ কোটি টাকা কম রাজস্ব আহরণ করেছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে সরকার আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে রাজস্ব আহরণ করেছে ৮ হাজার ৮০২ কোটি টাকা।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের তুলনায় এই বছরের প্রথম দুই মাসে স্থানীয় পর্যায়ে মূসক বা ভ্যাট থেকে আদায় কমেছে ২৮০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এনবিআরের হিসাবে, এই অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ভ্যাট থেকে আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৩৫১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর গত বছরের একই সময়ে ভ্যাট থেকে আদায় হয়েছিল ১১ হাজার ৬৩২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনার কারণে মানুষের আয় কমে গেছে, যার কারণে আয়কর খাত থেকে সরকারের আয়ও কমে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, করোনায় মানুষের আয় কমেছে ২০ শতাংশ। বিবিএস বলছে, করোনার আগে গত মার্চ মাসে প্রতি পরিবারের মাসিক গড় আয় ছিল ১৯ হাজার ৪২৫ টাকা। আগস্টে কমে দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৪৯২ টাকায়। অর্থাৎ পাঁচ মাসের ব্যবধানে পরিবার প্রতি আয় কমেছে প্রায় চার হাজার টাকা।
আনন্দবাজার/ইউএসএস