ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেল উৎপাদন বাড়াবে সৌদি

তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর ভাবনায় তেলের বিশ্ববাজার জীবাশ্ম জ্বালানির দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এই কারণে কমে যেতে পারে খনিজ তেলের চাহিদা।

অপরিশোধিত তেলের বাজার একেবারে ফুরিয়ে যাওয়ার পূর্বে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত সৌদি। দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত তেল উৎপাদনকারী সংস্থা আরামকো অপরিশোধিত তেল উৎপাদন ইতোমধ্যে বাড়িয়ে দিয়েছে। তেলের দৈনিক উৎপাদন ১২ মিলিয়ন ব্যারেল থেকে ১৩ মিলিয়নে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে দেশটি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিশ্বে পরিবেশবান্ধব তেলের চাহিদা বাড়ার আগেই নিজেদের তেল রপ্তানি বাড়িয়ে মুনাফা হাতিয়ে নিতে চাইছে তারা।

অপরদিকে পশ্চিমা দেশগুলোতে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা কমলে নতুন বাজারে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার পরিকল্পনাও করছে দেশটি। এ কারণে ভারত ও চীনের মতো দেশগুলোতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চাইছে তারা।

কিন্তু এখনো খনিজ তেলের বিশ্ববাজার নিয়ে আশাবাদী আরামকো। ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা বাড়বে৷ খুব দ্রুতই এ বাজারের পতন ঘটার আশঙ্কা নেই,’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন আরামকোর এক কর্মকর্তা।

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহামেদ বিন সালমানের নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অর্থ প্রয়োজন। প্রিন্স সালমান ২০৩০ সালের মধ্যে তেল রপ্তানির উপর দেশটির নির্ভরতা কমিয়ে আনতে চান৷ আর এ জন্য তার প্রয়োজন অর্থ। সে অর্থের অন্যতম উৎস হচ্ছে তেল রপ্তানি।

আর তাই অধিক পরিমানে তেল রপ্তানি করে উপার্জিত টাকা ভিন্ন খাতে বিনিয়োগের কথা ভাবছেন সালমান, বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।

অন্যদিকে বাজারে পরিবেশবান্ধব তেলের চাহিদা বাড়ার ফলে, আরামকোকেও সে ব্যাপারে ভাবতে হচ্ছে৷ আরামকোর তেল তার প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব। আরামকোর প্রতি ব্যারেল তেলে কার্বন ডাই অক্সাইডের তীব্রতা দশ দশমিক এক কেজি যা তার প্রতিযোগীদের চেয়ে অনেক কম।

প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানায়, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো পরিবেশবান্ধব তেল উৎপাদনে মনোযোগী হওয়া আর উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা। পাশাপাশি তেল উৎপাদন বাড়ানোর দিকেও আমাদের নজর আছে যেন প্রতিযোগীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা টিকে থাকতে পারি।’

তেল গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনার্জি অ্যাসপেক্টস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অমৃতা সেন মনে করেন, যে দেশগুলো পরিবেশবান্ধব উপায়ে তেল উৎপাদন করতে পারবে তারা বাজারে টিকে থাকবে। আর এক্ষেত্রে সৌদি প্রতিষ্ঠান আরামকো ভালো অবস্থানে থাকবে।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন