ত্বক ও চুলের যত্নে আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করি। তবে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না খেলে নামী-দামী প্রসাধনী ব্যবহার করেও তেমন কোন কাজ হবে না।
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, আমাদের ত্বক প্রতি ২৮ দিন পর পর পুনরায় নতুন করে গঠন হয়। স্কিন কেমন হবে তা নির্ভর করে আপনি কিভাবে পরিচর্যা করছেন। কিছু খাবার তালিকা থেকে বাদ দিলেই ত্বকে আসবে বাড়তি জেল্লা ও চুল হবে ঝলমলে।
তো চলুন সেসব খাবার সম্পর্কে জেনে নেই :
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার : অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার ব্রনের সমস্যা তৈরি করে। এই খাবারগুলোতে পরিশোধিত কার্বহাইড্রেট ও চর্বি থাকে যা স্কিনের ক্ষতি করে। এছাড়া বেকারীর খাবার যেমন ডোনাট,বিস্কিট,কেক,কুকিজ এসব কিছুই স্কিনের জন্য ভালো না।
অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার : যেসব খাবারে প্রাকৃতিক তেলযুক্ত রয়েছে যেমন বাদাম,ফল,দুধ ইত্যাদি শরীরের জন্য অনেক ভালো। তবে রিফাইন অয়েল উল্টো কাজ করে। বেশি তেলে ভাজা খাবার স্কিনের লাবণ্যতা কমিয়ে দেয় সেই সাথে মাথার স্কাল্পকে তৈলাক্ত করে তোলে।
পরীক্ষামূলক কোন কিছু না খাওয়া : এমন কোন জুস ,শরবত না খাওয়া যা শরীরে সমস্যা তৈরি করে। যেমন অনেক ফলে আপনার অ্যালার্জি হতে পারে ওইসব ফল বা ফলের জুস খেলে হিত বিপরীত হবে।
তাজা ফলমূল ও শাকসব্জি : ত্বকের যত্নে ফল ও শাকসবজির ভূমিকা বলার অপেক্ষ রাখে না। মৌসুমি যে সব ফল ও শাকসবজি পাওয়া যায় তা একদিকে যেমন ত্বক ও চুল সুন্দর করে তেমনি শরীরও ভালো রাখে। ত্বক উজ্জল রাখতে,টানটান ভাব ধরে রাখতে,বলিরেখা দূর করতে ফল ও সবজির তুলনা নেই।
মশলা : আমাদের দেশীয় মশলার অনেক গুণ আছে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। আদা,দারুচিনি,হলুদ দিয়ে মিশ্রিত এক গ্লাস পানি খেলে তা শরীরকে অনেকাংশে সুস্থ রাখে।
স্বাস্থ্য : আমাদের স্বাস্থ্য সরাসরি আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত। অনেকের ত্বকের খারাপ অবস্থা অস্বাস্থ্যকর অন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত। আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে দইয়ের মতো খাবার যুক্ত করুন, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।
আনন্দবাজার/টি এস পি