চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৫৪ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদকৃত তথ্যানুযায়ী, রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে ৪১ হাজার ১৮৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ১৩ হাজার ৫৪০ কোটি ১৭ লাখ টাকা বা প্রায় ২৫ শতাংশ।
এনবিআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব সংগ্রহ ঘাটতি কমেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এনবিআরের রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি ছিল প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
পরিসংখ্যান বলছে, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩০ হাজার ১৬২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। চলতি মাসে আহরণ হয়েছে (২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ১১ হাজার ২৫ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছর ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য রয়েছে এনবিআরের।
অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে আমাদের অর্থনীতির যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, সে হিসেবে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যদি লক্ষ্যের তুলনায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি হয়, তাহলে সেটা খারাপ নয়। এখন দেখার বিষয় ঘাটতিটা কত বড় হবে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তবে আমার মনে হয় এর চেয়েও অনেক বেশি ঘাটতি দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ গত বছর করোনা না থাকলেও ১ লাখ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ঘাটতি ছিল।
আনন্দবাজার/ইউএসএস