পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার লাদাখ অঞ্চলে চীন-ভারতের উত্তেজনা এখনও চলমান। এবার চীনের কর্মপদ্ধতির ওপর নজর রাখতে আমেরিকা থেকে ৩০টি MQ-9B ড্রোন কিনছে ভারত। এতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চীনের ছোট থেকে বড় সব পদক্ষেপের ওপরই নজর রাখতে পারবে নয়াদিল্লি।
এছাড়া নিজেদের হাতে থাকা ইসরায়েল হেরন’র স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন ডিভাইসকেও মজবুত করছে ভারত। নিজেদের প্রতিরক্ষা বিভাগে প্রচুর নতুন সমরাস্ত্র কেনার পাশাপাশি সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করতে আরও অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিভাইসও কিনছে দেশটি।
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, এই ড্রোনের জন্য ২২ হাজার কোটি রুপির চুক্তি হতে চলেছে। প্রাথমিকভাবে প্রথমে ৬টি ড্রোন আসবে। পরবর্তীতে আসবে বাকি ২৪টি ড্রোন, যা ডেলিভারি হবে আগামী ৩ বছর ধরে।
MQ-9B ড্রোনের বৈশিষ্ট্য :
১. এই ড্রোন একবারে ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারে বলে দাবি ড্রোন বানানো কোম্পানিজেনারেল অ্যাটোমিক্সের।
২. MQ-9 রিপার ড্রোন সবচেয়ে বেশি ৪৪৪.৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় উড়তে পারে। এটি ৫০ হাজার ফিট উচু পর্যন্ত উড়তে পারে।
৩. MQ-9 একসঙ্গে ১২টি মুভিং টার্গেটকে ট্র্যাক করতে পারে। এটা একটা মিসাইল ছাড়ার ০.৩২ সেকেন্ডের মধ্যে দ্বিতীয় মিসাইল ছাড়তে পারে।
৪. এই ড্রোন মোট ১ হাজার ৭৪৬ কিলো ওজন বহন করতে পারে।
৫. এই ড্রোনে ফল্ট টলারেট ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম আর ট্রিপল রিডন্টেন্ট অ্যাবিয়োনিক্স সিস্টেমে কাজ করে।
৬. এটা মডিউলার ড্রোন। এতে সহজেই পেলোডস কনফিগার করা যায়। এটি রিয়েল টাইমে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে ডেটা পাঠাতে পারে।
৭.এটি ইলেক্ট্রো অপ্টিক্যাল ইনফ্রারেড (EO/IR), সার্ভিউল্যান্স র্যাডার, মাল্টিমোড মৈরিটাম সার্ভিলান্স র্যাডার, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন মেজর্স মতো বিষয়ে সক্ষম। এটা লেজার বোম পরিবহন করতেও সক্ষম।
আনন্দবাজার/টি এস পি