চালের দাম আরেক দফা বেড়েছে কুষ্টিয়ার মিলগুলোতে। গত রবিবার কেজিপ্রতি বিভিন্ন ধরনের চালের দর এক টাকা করে বাড়িয়েছে মিলগুলো। নতুন দাম অনুযায়ী সরু মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৫২-৫৩ টাকা, কাজললতা ৪৮ টাকা এবং বিআর আটাশ ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন মূল্য নির্ধারণ নিয়ে যখন মিলমালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে তখনই চালের দাম বাড়ল। শুক্রবার এক দফা বৈঠকের পর গত রবিবার দ্বিতীয় বৈঠক হয়। সেই বৈঠক চলাকালেই মিলগেটে বাড়তি দামে বিক্রি শুরু করে কয়েকটি চালকল।
কুষ্টিয়ায় চালের মূল্যবৃদ্ধি হলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে সারা দেশের চলের বাজারগুলোতে। দেশের চালের দ্বিতীয় প্রধান মোকাম হচ্ছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা খাজানগর এলাকা। দাম বাড়তে থাকায় গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন মূল্য পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সিরাজুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত কমিটি শুক্রবার ও রবিবার দুই দফা বৈঠক করে। এতে চালকল মালিক সমিতির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
মিলমালিকেরা দাবি করেন, তারা ৭৫ শতাংশ ধান উত্তরবঙ্গ থেকে কিনে আনেন। এরপর রয়েছে উৎপাদন খরচ। সব মিলিয়ে যে ব্যয় দাঁড়ায়, তাতে প্রতি কেজি ৫৪ টাকার নিচে মিনিকেট চাল বিক্রি করা সম্ভব নয়। তবে জেলা প্রশাসন থেকে মিলগেটে মিনিকেট চালের দাম প্রতি কেজি ৫১ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এতে মিলমালিকেরা কোনো কিছু না বলেই বৈঠকস্থল ছাড়েন।
২০১৭ সালের পর দেশে এখন চালের দাম সবচেয়ে বেশি। সেই বছর দেশে চালের উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেড়েছিল। এদিকে পর্যালোচনা কমিটির কাজ চলার মধ্যেই দাম বাড়ানোর বিষয়ে জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, কেন দাম আবার বাড়ল, সে বিষয়ে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস