ঢাকা | শনিবার
২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩০% শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

তালিকাভুক্ত কম্পানিতে স্বচ্ছতা ফেরাতে কঠোর হচ্ছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। উদ্যোক্তা ও পরিচালক ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে কমিশন। শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ কম্পানির বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

৪৪ কম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে গত ২৯ জুলাই সময়সীমা বেঁধে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বেঁধে দেওয়া ৬০ দিনের মধ্যে এই শর্ত পরিপালনে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। তিন কম্পানি এই শর্ত মানতে শেয়ার কিনলেও ৪১ কম্পানি এখনও শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে। শর্ত পরিপালনে শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছে আরও তিন কম্পানি।

এর আগে কম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার কিনতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করে কম্পানিকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠি ইস্যুর দিন থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে শর্ত পরিপালনে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই আলটিমেটামের পর কয়েকটি কম্পানি শর্ত মানতে আগ্রহ দেখালেও এখনও শর্ত মানতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না বড় অংশই। শর্ত মানতে আগামী ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত শেয়ার কেনার সময় পাবে এসব কম্পানি।

জানা যায়, কম্পানির পরিচালকদের ২ শতাংশ করে শেয়ার ধারণ বাধ্যবাধকতা থাকলেও দীর্ঘদিন সেটা অকার্যকর ছিল। আইনে থাকলেও বাস্তবায়নে কঠোর না হওয়ায় এই নিয়ম কার্যকর হয়নি। তবে বর্তমান কমিশন কঠোর অবস্থান নেওয়ার পর এই আইন কার্যকর হয়েছে। সম্প্রতি ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ ৯ কম্পানির ১৭ পরিচালকের পদ শূন্য করা হয়।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হওয়া পরিচালকদের মতো কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। তবে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নাকি জরিমানা করে আইনের আওতায় আনা হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আবার শর্ত মানতে ব্যর্থ হওয়া কম্পানির বিরুদ্ধে বোনাস শেয়ার বা অন্য কোনো উপায়ে মূলধন উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে কমিশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ফেরাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আইন ব্যত্যয় হওয়া কম্পানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হওয়া কম্পানির বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়নি।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন