ঢাকা | শনিবার
২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধের পথে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল

পাটকলের মত এবার চিনিকল বন্ধের চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করে যাচাই-বাছাই ও মূল্যায়নে কাজ শুরু করেছে চিনি শিল্প করপোরেশন। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মিল বন্ধ না করে, সঠিক তদারকি এবং আধুনিকায়নে টাক্সফোর্স গঠন করতে পারে সরকার।

জানা গেছে, দেশে ৬০’র দশকেই স্থাপিত হয়েছে চিনি শিল্প করপোরেশনের অধিকাংশ মিল। শিল্পের প্রসার ও কর্মসংস্থানের বৃদ্ধির লক্ষে মিলগুলো প্রতিষ্ঠিত হলেও দিনে দিনে আজ তা রাষ্ট্রের বোঝায় পরিণত হয়েছে। সঠিক পদক্ষেপের না নিতে পারায় ১৫টি মিলের মধ্যে লাভজনক মাত্র একটি মিল। এছাড়া মাত্র ২টি মিলের উৎপাদন এর সক্ষমতার ৫০ শতাংশের উপরে, কিন্তু সক্ষমতার ৩০ শতাংশের নিচেই রয়েছে ৯টি মিলের উৎপাদন। সার্বিক উৎপাদন ক্ষমতা ও ব্যয় বৃদ্ধি, দূর্নীতিসহ বিভিন্ন কারণে মিলগুলোর প্রতি বছরই দেখতে হচ্ছে লোকসানের মুখ।

ফলে এসব কারণে মিলগুলো নিয়ে বেশ নড়েচড়ে বসেছে সরকার। ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের একটি কমিটি। এ ব্যাপারে কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, তারা এখনও কোন কার্যক্রম শুরু করেননি। কারণ কমিটি পুনঃগঠন হবে। তারপর যাবতীয় কার্যক্রম শুরু হবে।

এদিকে অনেক দিনের পুরনো শিল্প চিনিকলের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে লাখো শ্রমিক ও হাজারো পরিবার। তাই শ্রমিকদের কর্মহীন না করে, এ খাতের আধুনিকায়নের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

এই ব্যাপারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলামা মোয়াজ্জেম জানান, বর্তমানে পাটখাতের কলগুলোর মতোই এ খাতের কলগুলো রয়েছে ব্যাপক দুরাবস্থায়। তবে এর ভেতরও কিছুটা পার্থক্য আছে। যেমন খানে লিকার, কেরু এবং স্পিরিট তৈরি হয়, কারখানাটি নিয়মিতভাবে লাভের মধ্যে থাকলে এ ধরনের কারখানা সরকার অব্যাহত রাখতে পারে।

তবে ১৫টির মধ্যে প্রাথমিকভাবে বেশি লোকসানী ৮টি চিনিকল নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করছে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন