কথায় আছে, চেষ্টা করলে সব কিছুই সম্ভব। আর সেই প্রবাদ বাক্যকে সঠিক প্রমাণ করলেন তামিলনাড়ুর এক কাগজকুড়ানি। ছোট থেকেই তার স্বপ্ন ছিল নিজের মূর্তি বানাবেন। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে খরচ করেছেন ১১ লক্ষ টাকা। যা তাঁর সারাজীবনের জমানো সম্বল। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
নালাথাম্বি নামে এই কাগজকুড়ানি আগে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। তবে সেই কাজ ভাল না লাগায় ছেড়ে দেন। এমনকী গ্রামের বাড়ি থেকেও বেরিয়ে যান। তারপর কাগজকুড়ানির কাজ শুরু করেন। পুরনো বোতল এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিস জোগাড় করে বিক্রি করতেন তিনি। দিনে আয় হত ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। সেখান থেকেই যাবতীয় খরচ চালিয়ে, বাকি টাকা সঞ্চয় করতেন তিনি।
যদিও রাজমিস্ত্রীর কাজ করার সময় থেকেই টাকা জমাতেন তিনি। দীর্ঘদিন কাজ করার পরে দেখেন, তার কাছে ১১ লক্ষ টাকা জমেছে। তবে পরিবারের সাথে সম্পর্ক না থাকায়, ওই টাকায় নিজের পুরনো স্বপ্নপূরণের সিদ্ধান্ত নেন।
তারপরই যেমন ভাবা তেমন কাজ। ভাজাপিদ-বেলুড় রোডের পাশে দশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জমি কেনেন। এরপর বাকি এক লক্ষ টাকা দিয়ে স্থানীয় এক স্থপতিকে দিয়ে নিজেরই একটি মূর্তি বানান সেখানে।
এই প্রসঙ্গে নালাথাম্বির বক্তব্য, ছোটবয়স থেকেই ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে অনেক নাম কামাবো। তারপর নিজের একটি মূর্তি হবে। এবার আমার সেই স্বপ্ন সত্যি হল।
বর্তমানে তার ইচ্ছে বড়সড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেটির উন্মোচন করা। খবরটি প্রকাশ্যে আসতে অনেকেই অবাক হয়েছেন। তবে নালাথাম্বি কিন্তু সত্যিই নিজের স্বপ্নপূরণ করেছেন। নিজের সঞ্চয় শেষ করে ফেললেও শেষপর্যন্ত খ্যাতি পেলেন।
আনন্দবাজার/এফআইবি