ট্রাম্পের অপশাসনের সমালোচনা করার কারণে ‘বার্ষিক আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’র পুরস্কার পাচ্ছেন না ফিনিশের সাংবাদিক জেসিক্কা আরো। তার এই পুরষ্কার পাওয়ার তথ্য জানানো হয়েছিল, হেলসিঙ্কির মার্কিন দূতাবাস থেকে। সেজন্য তিনি সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে তাকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট তাদের অপারগতার কথা জানিয়ে দেয়।
প্রতি বছরের মতো এবারও মার্চে সারা বিশ্বের ১০ সাহসী নারীর মধ্যে সেই পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইন্সপেক্টর জেনারেলের অফিস থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, পুরস্কার দেওয়া না দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর তা পরিবর্তনের এখতিয়ার রয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্টের। তাই তারা জেসিক্কা আরোর নাম শেষ মুহূর্তে বাদ দিয়েছে।
তবে গত সপ্তাহে ইন্সপেক্টর জেনারেলের অফিস জানিয়েছে, ফেসবুক এবং টুইটারে ট্রাম্পের কিছু কর্মকাণ্ড ও মন্তব্যের কঠোর সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জেসিক্কার নাম ওই তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়।
চূড়ান্ত তালিকার পর গত ফেব্রুয়ারিতে জেসিক্কার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ‘গ্লোবাল উইমেন্স ইস্যু’ অফিসের লোকজন। সাংবাদিকরা আমেরিকানদের শত্রু এবং ভুয়া নিউজের অপর নাম বলে বিভিন্ন সময়ে ট্রাম্প যেসব মন্তব্য করেছেন, সেগুলোকে সমালোচনা করেছেন জেসিক্কা। এসব মতামতকে প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত আচরণ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ফলে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া ঠিক নয় বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এর পরই তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি