বিশ্ববাজারে এবার পতনের দিকে ঝুঁকছে স্বর্ণ ও রুপার দাম। দীর্ঘদিনের উত্থানের রেশ থামিয়ে অবশেষে কমতে শুরু করেছে পণ্য দুটির দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে গত সপ্তাহে স্বর্ণের দাম সাড়ে চার শতাংশ এবং রুপার দাম সাড়ে ১৪ শতাংশের বেশি কমেছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সুদের হার কমানো এবং নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র ডলার শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা চালানোয় স্বর্ণ ও রুপার এই দরপতন হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনাভইরাসের প্রকোপের মধ্যে চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। কয়েক দফায় দাম বেড়ে আগস্টের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড দুই হাজার ৭৪ ডলারে উঠে যায়।
গত ৭ আগস্ট থেকে পতনের মুখে পড়ে স্বর্ণের দাম। ১১ আগস্ট এসে বড় পতন হয় স্বর্ণের দামে। একদিনে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১১২ ডলার পর্যন্ত কমে যায়। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ৭ দশমিক ৯৯ ডলার বা দশমিক ৪৩ শতাংশ। এতে সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। মাসের ব্যবধানে যা ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তবে বছরের হিসেবে স্বর্ণের দাম এখনও ২৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি রয়েছে।
বিশ্ববাজারে কমে আসায় গত শুক্রবার দেশের বাজারেও কমানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। নতুন দাম অনুযায়ী, ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৪৪৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪ হাজার ৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ভরি ৭০ হাজার ৮৫৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ভরি ৬২ হাজার ১১১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৭৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে করোনায় রুপার দামেও বড় উত্থান হয়। আগস্টের শুরুতে ২০১৩ সালের মার্চের পর সর্বোচ্চে পৌঁছায় রুপার দাম। প্রতি আউন্স রুপার দাম ২৮ দশমিক ২৬ ডলার স্পর্শ করে।এর পর শুরু হয় দরপতন। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতি আউন্স রুপার দাম দশমিক ৩৫ ডলার কমে ২২ দশমিক ৮৬ ডলারে নেমে এসেছে। এতে গত সপ্তাহজুড়ে রুপার দাম কমেছে ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে রুপার দাম কমেছে ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তবে বছরের হিসাবে রুপার দাম এখনও ৩৪ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি রয়েছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস