দেশে পর্যাপ্ত চালের মজুত থাকলেও দফায় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে চালের দাম। গেল দুই-তিন দিনের ব্যবধানে সারা দেশে সকল ধরনের চালের মূল্য কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে চার দফা বৃদ্ধি পেল চালের দাম।
জানা গেছে, মিলারদের সিন্ডিকেটের কারসাজিতেই বার বার অস্থির হয়ে উঠছে চালের বাজার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত মিলারদের কারনেই দফায় দফায় চালের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে চালের সবচেয়ে বড় আরত কুষ্টিয়ার খাজানগর। এই আরতের চাল মিলারদের হঠাৎ আবার চালের মূল্য বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন চালকল মালিকদের বলেন, আপনারা ইচ্ছেমত চালের মূল্য বাড়িয়ে সরকার ও প্রশাসনকে বিব্রত করার অপচেষ্টা করবেন তা কখনই সহ্য করা হবে না। কি কারণে চালের মূল্য বাড়ানো হয়েছে তার ব্যাখ্যা চায় জেলা প্রশাসন।
তবে মিলারদের অভিযোগ, ধান মজুতের কারণে চালের মূল্য বেশি। এছাড়া দেশের ৩৫টি জেলায় চার দফা বন্যার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে।
পাইকারি ব্যবসায়িরা বলেন, বোরো মৌসুমে উৎপাদিত ধানের বড় একটি অংশ মিলাররা নিজেরাই কিনে মজুত করেছেন। এছাড়া এখন প্রান্তিক কৃষকের হাতে ধান নেই। তাই ধানের মূল্য বাড়ার অজুহাতে চালের দর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এই অজুহাত একেবারেই ঠিক না।
এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখতে চালের দর নির্ধারণে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলামকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানিমুল সিরাম, দাদা রাইস মিলের মালিক জয়নাল আবেদীন, দেশ অ্যাগ্রো ফুডের মালিক আবদুল খালেক, বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, মিল মালিক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও ওমর ফারুক।
তবে গঠিত কমিটি ধান ক্রয় থেকে চাল উৎপাদনে সমুদয় খরচ নিরূপণ করে চালের দর নির্ধারণ করবে। এছাড়া কমিটির অনুমোদন ছাড়া চালের মূল্য বৃদ্ধিতে কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে