চাঁদে এই প্রথম কোনো নারী পা রাখবেন। আর এটিই স্বরণীয় হয়ে থাকবে পৃথিবীর ইতিহাসে। ২০২৪ সালে চাঁদের মাটিতে হাঁটবেন দু’জন মানুষ। তার মধ্যে এক নারী ও অপরজন পুরুষ মহাকাশচারী। তারা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবেন। পৃথিবী থেকে চাঁদে যেতে আর্মস্ট্রংদের লেগেছিল তিন দিন। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগামীর ফলে এবার আড়াই দিনেই পা রাখা যাবে চাঁদের মাটিতে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জিম ব্রিডেনস্টাইন সোমবার ( ২১ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করেছেন। ১৯৬৯-এ প্রথম সভ্যতার পায়ের ছাপ পড়েছিল চাঁদের বুকে। হেঁটেছিলেন তিন মার্কিন মহাকাশচারী।
তথ্যানুসারে- দু’-এক কদম এগোনোর পর চাঁদের মাটি থেকেই নিল আর্মস্ট্রংকে বলতে শোনা গিয়েছিল, দ্যাট্স ওয়ান স্মল স্টেপ ফর আ ম্যান, ওয়ান জায়ান্ট লিপ ফর ম্যানকাইন্ড (একজন মানুষের এই ছোট একটা পদক্ষেপই গোটা মানবসভ্যতার বিরাট উল্লম্ফন)।
ব্রিডেনস্টাইন জানিয়েছেন, ৫৫ বছর আগে নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স আর এডুইন (বাজ) অলড্রিন খুব অল্প সময়ের জন্যে হেঁটে ছিলেন। কিন্তু এবার টানা সাত দিন ধরে চাঁদের মাটিতে হাঁটাহাঁটি, নুড়ি-পাথর কুড়োনো ও নানা ধরনের গবেষণা চালাবেন দুই মহাকাশচারী। আর এক দশকের মধ্যে লাল গ্রহ মঙ্গলের বুকে মানুষের পদার্পণের জন্য জরুরি প্রাথমিক গবেষণা ও প্রস্তুতি শুরু হবে চাঁদের মাটিতে এবারের পদার্পণ থেকেই। তারপর মহাকাশযানে চেপে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন দুই মহাকাশচারী।
চাঁদে পদার্পণের জন্য কোন দুই মহাকাশচারীকে বেছে নেওয়া হয়েছে তাদের নাম এখনও নাসা জানায়নি। শুধুই খোলসা করেছে তাদের আসন্ন চন্দ্রাভিযান ‘আর্টেমিস মিশন’-এর প্রথম পর্যায়ের পরিকল্পনা।
আনন্দবাজার/ইউএসএস