মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে কাহিল পুরো বিশ্বের জনজীবন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে গ্রীষ্ম বিদায় নিয়ে আসছে শীত। শীতের সময়টা ‘ফ্লু সিজন’ নামে পরিচিত। একদিকে করোনা এবং অন্যদিকে ফ্লু সিজন, একসাথে একে ‘টুইনডেমিক সিচুয়েশন’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় ৩ কোটি মানুষ যখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, তখনই আরেকটি খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার পথে। তা হলো সিজনাল ফ্লু। এই সংকট মোকাবিলায় টিকা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ফ্লু’র ভ্যাকসিন কাজে না দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ ঠেকাবে এই টিকা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস এবং ফ্লু’র উপসর্গ প্রায় একই রকম। ফলে রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখে ঠিক কী হয়েছে তা বলা বেশ কঠিন হয়ে উঠবে।
আবার ফ্লু এবং করোনা, এই দুই রোগ এক সঙ্গে হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞেরা।
তবে করোনার চেয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা মোকাবিলা তুলনামূলক সহজ। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সংক্রমিত হলে করোনার তুলনায় দ্রুত উপসর্গ দেখা দেয়। রোগ দ্রুত ধরা পড়লে, দ্রুত চিকিৎসা সম্ভব।
শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপেই নয়, শীতকালে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি