সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের মাহদীপুরে আটকে থাকা পচা পেঁয়াজের সকল ট্রাক ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ফের পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যায়। কবে নাগাদ আবার আসা চালু হবে সেটা অনিশ্চিত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু পারে আটকে থাকা পেঁয়াজের ট্রাক আর নিতে রাজিও নন ব্যবসায়ীরা। কারণ হিসেবে তারা দেখছেন দীর্ঘদিন ওপারে ট্রাকে আটকে থাকা পেঁয়াজ পচে গেছে। যেটা আনলে লোকসান গুণতে হতে পারে।
গত শনিবার ৮টি ট্রাকে ২১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ প্রবেশ করলেও গেল রবিবার কোনো পেঁয়াজের ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। উল্টো আটকে থাকা পেঁয়াজের অধিকাংশ ট্রাকই ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আটকে থাকা শতাধিক ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ নিয়েও ব্যাপক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের এক তৃতীয়াংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে জেলার বিভিন্ন বাজারগুলোয় কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা করে কমেছে বলে জানা গেছে। বাজারগুলোতে দেখা গেছে, পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং পাইকারি বাজারে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।
ভারতের মহদীপুর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট-এর এক প্রতিনিধি নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, গত শনিবার রাতের মধ্যে তিন শতাধিক পেঁয়াজের ট্রাক মহদীপুর থেকে তাদের দেশের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নেওয়া হলেও বর্তমানে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক ট্রাক।
এই ব্যাপারে সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা আবদুল আওয়াল বলেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দরে গত শনিবার আমদানি করা পেঁয়াজের গুণগত মান খারাপ হওয়ায় তারা পেঁয়াজের মূল্য পাচ্ছেন না। এতে করে আমদানিকারকরা ব্যাপক লোকসানের সম্মুখে পড়েছেন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে