ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুতোষ বিজ্ঞাপন বন্ধের চাপে গুগল ও ফেসবুক

শিশুদের লক্ষ্য করে তৈরি বিজ্ঞাপন নিয়ে চাপে রয়েছে সার্চ জায়ান্ট গুগল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মতো প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে বহুদিন ধরে এ ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় এবার একাডেমিক ও শিশু-অধিকার নিয়ে কাজ করেন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্যদের এমন একটি অংশ খোলা চিঠি দিয়ে এ ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন।

গুগল, অ্যামাজন, অ্যাপল, ফেসবুক ও মাইক্রোসফটের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের এ খোলা চিঠিতে শিশুতোষ এসব বিজ্ঞাপনের ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়ে বলা হয়েছে। শিশুদের টার্গেট করে তৈরি এমন ধরনের আচরণগত বিজ্ঞাপন কেবল তাদের গোপনীয়তার জন্যই ক্ষতির কারণ নয়। বরং এটি শিশুদের ওপর অন্যায্য একধরনের বিপণন চাপ প্রয়োগ করে। এটি তাদের মধ্যে আচরণগত পরিবর্তনে এক ধরনের প্রবণতা তৈরি করে।

এদিকে শিশুতোষ বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে ইউটিউবের বিরুদ্ধে চলা আইনি লড়াইয়ে স্বাক্ষর করা ২৩ জনের মধ্যে রয়েছেন ক্যারোলিন লুকাস এবং ক্লিনিক্যাল মনোবিজ্ঞানী ড. এলি হ্যানসনের মতো পার্লামেন্ট সদস্যের নাম। এছাড়া বৈশ্বিক পরিবেশবাদী সংস্থা ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থেরও নাম রয়েছে ওই চিঠিতে।

অনলাইনে শিশু সুরক্ষার বিষয়টি এখন বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। কভিড-১৯ মহামারি কারণে এখন অনেক শিশু ঘরে বসে অনলাইনে খুব বেশি সময় ব্যয় করছে।

ইন্টারনেটের সম্ভাব্য ক্ষতির দিকটি এড়িয়ে কীভাবে সব ভালো দিকগুলোর সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত করবেন? কভিড-১৯ মহামারির এ সংকটপূর্ণ সময়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলার সময় এ ভারসাম্য বজায় রাখা খুব সহজ নয়। কারণ খোদ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোই অনেক সময় শিশুদের ব্যবসায় ফায়দা নেয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন