নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে ন্যূনতম দুই শতাংশ শেয়ারধারণের শর্ত পূরণ না করে পদে বহাল থাকায় বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় কোম্পানির ১৭ পরিচালককে শিগগিরই অপসারণ করতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
আইন অনুসারে, পরিচালক থাকতে হলে কোম্পানির ২ শতাংশ শেয়ার কিনে মালিকানায় রাখতে হয়। এই শর্ত পূরণ না করে পদে থাকা ২২ কোম্পানির ৬১ পরিচালককে কমপক্ষে ২ শতাংশ শেয়ারধারণের শর্তপূরণের জন্য ২ জুলাই ৪৫ কর্মদিবস সময় বেঁধে দেয় বিএসইসি।
সে হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর শেষ কর্মদিবস হলেও প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়া ছিল বলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবগত বিএসইসির এক উপপরিচালক জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, বেঁধে দেওয়া সময়ে ৬১ জনের মধ্যে ২৫ পরিচালক শর্তপূরণ করেছেন। ১৯ পরিচালক ব্যর্থ হয়ে পদ ছেড়েছেন।
“বাকি নয় কোম্পানির ১৭ পরিচালক কোনোটাই করেননি। বিধি অনুসারে, এখন তাদের অপসারণের উদ্যোগ নেবে বিএসইসি। এ ব্যাপারে আগামী সপ্তাহেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের পরের বছর নভেম্বরে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের মিলিতভাবে কোম্পানির সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিলো। সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্র পরিচালক ছাড়া অন্য পরিচালকদে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ারধারণ করতে হবে।
গত বছর মে মাসে আইনে সম্পূরক সংযোজন এনে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার না থাকলে শেয়ার বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া অথবা উপহার হিসেবে শেয়ার হস্তান্তর ও বোনাস শেয়ার দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।
যদি এককভাবে কোনো পরিচালকের ২ শতাংশ শেয়ার না থাকলে বেঁধে দেওয়া সময়ের পর তার পরিচালক পদ শূন্য হবে। এর এক মাসের মাঝে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণকারী কেউ তা পূরণ করবে।
তবে যে ২২ কোম্পানির পরিচালকদের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তাদের মাঝে অধিকাংশই ছিল বীমা খাতের। এগুলো হলো- মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্স, এশিয়া ইনস্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, দুলামিয়া কটন, ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স, এক্সিম ব্যাংক, ইমাম বাটন, ইনটেক লিমিটেড, কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স, কে অ্যান্ড কিউ প্রাইম ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনস্যুরেন্স, প্রভাতী ইনস্যুরেন্স, ইউনাইটেড এয়ার, ফু–ওয়াং সিরামিকস, পূরবী জেনারেল ইনস্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইনস্যুরেন্স, ওয়াটা কেমিক্যালস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স ও প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স।
আনন্দবাজার/এফআইবি