বর্তমানে ডায়াবেটিসকে সাধারণ রোগের কাতারেই ফেলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪২ কোটিরও বেশি। ৩০ বছর আগের তুলনায় এই সংখ্যা এখন চার গুণ বেশি। সারা বিশ্বে এই রোগে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
শরীর যখন রক্তের সব চিনিকে (গ্লুকোজ) ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখনই ডায়াবেটিস বাসা বাঁধে মানুষের শরীরে। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে। এছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি এবং অনেক সময় শরীরের নিম্নাঙ্গ কেটেও ফেলতে হতে পারে। তবে একেবারে সেরে না গেলেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
এক্ষেত্রে আপনাকে সহযোগিতা করবে হিং। এই ভেষজ উপাদানটি রান্নায় স্বাদ গন্ধ বাড়াতে সাহায্য করে। এটি অনেকের কাছেই এখন বেশ পরিচিত। হিং-এর মধ্যে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই এটি স্বাদের পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী বলে বিবেচিত হয়।
আসুন জেনে নেই, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে যেভাবে খাবেন- এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে আধা চামচ হিং পাউডার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এই পানিটুকু পান করুন।
হিংয়ের আরো স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো হছে-
> কানের ব্যথা কমায় হিং। আপনি যদি কানের ব্যথায় ভুগে থাকেন। তাহলে তিলের তেলে হিং গরম করে সেই তেলে এক থেকে দুই ফোঁটা কানে দিন। এতে আপনি খুবই আরাম পাবেন।
>নারীদের পিরিয়ডের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেবে হিংয়ের পানি।
> দাঁতে ক্যাভিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও হিং খুবই কার্যকর হতে পারে। দাঁতে পোকা হলে, রাতে দাঁতে হিং লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
> হিংয়ের পানি মেটাবলিজম বাড়ায়। তাই শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে না। ফলে ওজন কমে। এছাড়াও এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করতে পারে।
> কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা হিং খেলে অনেক উপকার পাবেন। রাতে শোওয়ার আগে এক গ্লাস হিং পাউডার মিশিয়ে পান করুন। ফল পাবেন হাতেনাতে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে