ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তরুণ প্রজন্ম ঝুঁকে পড়েছে স্মার্টফোনের গেমস এর দুনিয়ায়

বিশ্বব্যাপী ঘাতক নভেল করোনা ভাইরাস আতঙ্কে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ব। করোনার এই ভয়াবহতা বদলে দিয়েছে পুরো পৃথিবীর দৃশ্যপট। এই অবস্থায় নিরাপদে থাকতে গত ১৭ মার্চ থেকে দফায় দফায় বন্ধ রাখা হচ্ছে স্কুল-কলেজসহ, বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই সাথে বাইরে খেলাধুলার পর্যাপ্ত সুযােগ না থাকায় ঘরে বসে থাকা স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা সহ তরুণ প্রজন্ম ঝুঁকে পড়েছে বিনােদনের অন্যতম মাধ্যম স্মার্টফোনের গ্রাফিক্স গেমস এর দুনিয়া।

এই ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের যতটা না উপকার করছে তার চাইতে শিক্ষার্থীদেরকে পিছিয়ে ফেলেছে বেশি।

প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে স্মার্টফোন ব্যবহার করে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত জেগে ফেসবুক, ইউটিউব, মেসেজিং করে বেশির ভাগ সময় পার করে দেওয়া আমাদের রুটিনে পরিণত হয়েছে।

এছাড়াও স্মার্টফোনের সুন্দর সুন্দর গ্রাফিক্স গেমস তাে রয়েছেই। যেমন তিন পাত্তি, লুডু, পাপজি সহ অনেক খেলা। যার মাধ্যমে আমাদের সময়টা কে আনন্দের সাথে কাটাছে। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীসহ উঠতি বয়সী তরুণরা সারাদিন মােবাইলে গেম নিয়ে মত্ত থাকছে। কিন্তু এই গেমস কতটা ক্ষতির কারন তা কি আমরা কেউ চিন্তা করছি? এই গেমস মাদকের চেয়েও বেশি ভয়াবহতা হয়ে দাড়িছে। যা কোমলমতী শিক্ষার্থীদের মেধা নষ্ট করে দিয়ে ভবিষ্যৎ অন্ধকারে দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে গোপালপুর কলেজের প্রভাষক মোঃ আাজাদুর রহমান বলেন, আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজন আছে। তবে তথ্য-প্রযুক্তির এর সুফলের পাশাপাশি কুফলও আছে। কুফলের দিকে অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা বর্তমান প্রযুক্তিকে সঠিক ভাবে প্রয়োগ করবে এটা আমার প্রত্যাশা।

এছাড়াও এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রোগ নিয়ন্ত্রণ ডাঃ মমিনুল ইসলাম হিমেল বলেন, ফেসবুক, ইউটিউব, মেসেজিং করে শিক্ষার্থীরা সহ অনেক তরুণ প্রজন্ম গেমস খেলে সময় পার করতে দেখা যায়। যা অনেক সময় অতিরিক্ত সময় ধরে খেলা গেম আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বা বিভিন্ন কৌতূহল থেকে নেশায় পরিণত হতে পারে। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্ম স্মার্টফোনের ব্যবহার কি ভাবে করেছে সেদিকে অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে/এম এ আর

সংবাদটি শেয়ার করুন