সর্বোচ্চে উঠতে পারে মিয়ানমারে এবছরের চালের মজুদ। মিয়ানমারে চালের সমাপনী মজুদে প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে টানা তিন বছর ধরে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর শেষে দেশটিতে চালের মজুদ আগের বছরের তুলনায় এক-চতুর্থাংশের বেশি বাড়তে পারে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মিয়ানমারে চাল উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া চাল মজুদকারীদের বৈশ্বিক তালিকায় দেশটি অষ্টম অবস্থানে রয়েছে। ইউএসডিএ জানিয়েছে, সর্বশেষ ২০১৬ সালে মিয়ানমারে চালের মজুদে মন্দা ভাব দেখা গেছে। ওই বছর দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির সমাপনী মজুদ দাঁড়িয়েছিল ৫ লাখ ৫১ হাজার টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ কম।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের চালের সমাপনী মজুদ ৪৭ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৮ লাখ ১১ হাজার টনে। প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় গত বছর দেশটির চালের সমাপনী মজুদ দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩১ হাজার টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।
আর চলতি বছর দেশটিতে চালের সমাপনী মজুদ আরো ২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়ে ১৪ লাখ ৪১ হাজার টনে উন্নীত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে দেশটিতে চালের সমাপনী মজুদ বাড়তে পারে তিন লাখ টনের বেশি। মিয়ানমারের ইতিহাসে এটাই হবে চালের সর্বোচ্চ মজুদের রেকর্ড।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস