পাইকগাছায় জনবল (কর্মকর্তা) সংকটের কারণে ব্যহত হচ্ছে সোনলী ব্যাংক শাখার গ্রাহক সেবা। সেবা নিতে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে বজায় থাকছে না স্বাস্থ্যবিধি। ১৪জন কর্মকর্তার স্থলে কর্মরত রয়েছে ব্যবস্থাপক সহ ১১জন কর্মকর্তা। বাড়তি কাজ করেও সেবা দিতে গিয়ে হিম-সিম খাচ্ছেন প্রত্যেক কর্মকর্তা। দ্রæত সেবা প্রদানে নুন্যতম ৩ থেকে ৫ কর্মকর্তা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
সুত্র মতে উপজেলা সদরে বেশ কয়েকটা আর্থিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পুরাতন এবং গুরত্বপূর্ণ রাষ্ট্রায়ত্ব আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সোনালী ব্যাংক অন্যতম। উপজেলা সদর ও প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থান হওয়ায় আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি অনেক গুরুত্ব বহন করে থাকে। বিশেষ করে উপজেলার সকল সরকারি সেবা প্রদান থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তা- কর্মচারিদের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয় অত্র শাখা থেকে। অথচ কাজের পরিধী অনুযায়ী নেই প্রয়োজনীয় জনবল।
বর্তমানে এই শাখায় ব্যবস্থাপকসহ ১১জন কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছে। এর আগে ১৪ জন কর্মরত থাকলেও ২মাস আগে প্রতিস্থাপন ছাড়াই একজনকে বদলি করা হয়। সেচ্ছায় চলে গেছেন আরেক কর্মকর্তা। কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন অপর এক কর্মকর্তা। ফলে প্রতিদিন সেবা দিতে গিয়ে হিম-সিম খাচ্ছেন ১১কর্মকর্তা।
বর্তমানে ভাতাভোগীসহ প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে অত্র শাখায়। চলমান রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন, মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও শিক্ষা-উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন ধরণের সেবা। আদান প্রদান করতে হয় ঋণ। এর সাথে প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাহক। অথচ বাড়ছেনা জনবল। ফলে ব্যহত হচ্ছে গ্রাহক সেবা। সেবা নিতে এসে গ্রাহকদের দাড়িয়ে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। বাইন চাপড়া গ্রামের গৃহবধু তাপসী রাণী সানা জানান শিশু বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ৪ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পরও ভাতার টাকা উত্তোলন করতে পারেনি।
গ্রাহক কওসার আলী জানান প্রত্যেক গ্রাহককে কয়েক ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হয়। এর ফলে প্রচন্ড ভিড় জমে যায়, যার কারণে স্বাস্থ্যবিধি বজায় থাকে না।
এ ব্যাপারে ব্যবস্থাপক মোঃ আরিফ উদ্দীন জানান দ্রæত সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নাই। আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। সম্প্রতি নানা কারণে ৩জন কর্মকর্তার শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গ্রাহকের একটু বেশি সময় নিয়ে সেবা নিতে হচ্ছে। বিষয়টি আমরা মৌখিক ভাবে উর্দ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
শুন্য কর্মকর্তার স্থল পূরণ হলে এমন সমস্যা থাকবে না বলে মন্তব্য করেন ব্যবস্থাপক আরিফ উদ্দীন। করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক, তাপমাত্রা নির্ণয় যন্ত্র স্থাপন ও জিবানুনাশক স্প্রের ব্যবস্থা রয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানান। দ্রæত সেবা প্রদানে জরুরী ভিত্তিতে ৩-৫ জন কর্মকর্তা নিযুক্ত করার দাবি জানিয়ে উর্দ্বতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ গ্রাহকরা।
আনন্দবাজার/শহক