ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি আয় কমেছে ১৮ শতাংশ

ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের রফতানি আয়ের শীর্ষ খাত তৈরি পোশাক শিল্প। তবে করোনার কষাঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত সাত মাসে রফতানি আয় কমেছে ১৮ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ওটেক্সার (অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল) হিসাবে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গত সাত মাসে ভিয়েতনামের রফতানি কমেছে ১১ শতাংশের মতো। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এখনো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পোশাক রফতানিকারকের তালিকায় রয়েছে দেশটি। অন্যদিকে কম্বোডিয়ার রফতানি কমেনি, বরং বেড়েছে ৬ শতাংশের কিছু বেশি।

উদ্যোক্তারা জানান, করোনা সংকট কাটলে বাংলাদেশ আবারও তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। বিভিন্ন কারণে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ আবারও ঘুরে দাঁড়াবে। দেশের পোশাক কারখানা চালু থাকলেও করোনাকালের কারণে কাঁচামালের অভাবে তারা পণ্য তৈরি করতে পারেনি। এই সময়ে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া সহজেই কাঁচামাল পেয়েছে চীন থেকে। এছাড়া ভিয়েতনাম শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। যেখানে বাংলাদেশকে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অবাকাঠামো ঘাটতি অনেক।

এ প্রসঙ্গে নিট পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত সাত মাসে ১৮ শতাংশ রফতানি আয় কমেছে। এটা আরও বেশি হতে পারত। আমরা মনে করেছিলাম এটা প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ হবে। প্রধানমন্ত্রী পোশাক খাতের জন্য প্রণোদনা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খোলা রাখায় তেমন প্রভাব পড়েনি। গত জুন-জুলাইয়ে দেশটিতে আমাদের রফতানি আয় ভালো হয়েছে। তবে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এসে আবার কমতে শুরু করেছে। তবে চলতি মাসের শেষে গিয়ে জানা যাবে রফতানির প্রকৃত চিত্র কী হবে।

করোনা সংকট কাটলেই ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ আবারও ঘুরে দাঁড়াবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভিয়েতনামে পণ্য সরবরাহ করতে সময় লাগে ১৫-২০ দিন (লিড টাইম), সেখানে বাংলাদেশের লাগে ৪৫ থেকে ৬০ দিন। এছাড়া শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় ভিয়েতনাম। এর পরও অবস্থা স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশ ভিয়েতনামকে আবারও ছাড়িয়ে যাবে।

গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি হয়েছে ২৯০ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে দেশটিতে রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৫৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলার।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন