উৎপাদন খাতের মন্দার ফলে গত বছর ৩১ শতাংশের বেশি কমে এসেছিল ইউক্রেনের মাখন রফতানি। এই বছরও দেশটির মাখন রফতানিতে প্রায় একই পরিমাণ মন্দা ভাব বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মন্দার কারণে ২০২০ সালে ইউক্রেন থেকে দুগ্ধপণ্যটির রফতানি নেমে আসতে পারে ১৫ হাজার টনের নিচে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনের বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকার দশম মাখন উৎপাদনকারী দেশ। তবে দুগ্ধপণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় দেশটি সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। ইউএসডিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে ইউক্রেন থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ২৮ হাজার টন মাখন রফতানি হয়েছিল। পরের বছর দেশটি থেকে দুগ্ধপণ্যটির রফতানি ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়ে ২৯ হাজার টনে উন্নীত হয়। ইউক্রেনের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বেশি মাখন রফতানির রেকর্ড।
উৎপাদন খাতের মন্দার কারণে পরের বছরই ইউক্রেন থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে মাখন রফতানির পরিমাণ নেমে দাঁড়ায় ২০ হাজার টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ কম। চলতি বছর ইউক্রেন থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে মাখনের রফতানি আরও ৩০ শতাংশ কমে ১৪ হাজার টনে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ইউক্রেন থেকে মাখন রফতানি কমতে পারে ছয় হাজার টন। ২০১৬ সালের পর এটাই দেশটি থেকে মাখনের সর্বনিম্ন রফতানির পরিমাণ।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস