পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজের প্রিন্ট ভার্সন A story of neglect শিরোনামের একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ নানা বিষয়ের প্রশংসা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার প্রকাশিত ওই নিবন্ধটি লিখেছেন মুনসুর আহমেদ। তিনি শুরুতে বলেন, সামাজিক খাতে অর্থপূর্ণ বিনিয়োগ ছাড়া দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব নয়।
ওই নিবন্ধটিতে বলা হয়, প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াও বাংলাদেশে সামাজিক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে দারিদ্র্যের হার কমিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিচু আয় পাকিস্তানের চেয়েও বেশি এবং বর্ধনশীল অর্থনীতির তালিকায় ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে পাকিস্তানের মাথাপিচু আয় গত দুই বছর ধরে ক্রমাগতভাবে কমছে এবং প্রবৃদ্ধি আফগানিস্তানের চেয়েও কম।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর মুক্তি এগুলো হচ্ছে সামাজিক খাত। এসব খাতে বিনিয়োগ করা মানে শুধু উচ্চ শিক্ষায় বিনিয়োগ নয়। এই অঞ্চলের অধিকাংশ দেশের তুলনায় নারীদের উন্নতির জন্য বেশি পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে তাদের জন্য। বাংলাদেশ সফল পরিবার পরিকল্পনা প্রোগ্রামের মাধ্যমে শুধু গর্ভধারণ কমানোর পাশাপাশি নারীদের জীবনমানেও পরিবর্তন এনেছে।
পাকিস্তানের পরিকল্পনাকারীরা আন্তরিকতাহীন কাজের মূল্য দিচ্ছে লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে। পাকিস্তানের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হার এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি। ১৯৯০ সালের দিকে টেক্সটাইল ইন্ড্রাসটি চালু করেছিল বাংলাদেশ। এখন সেখানকার ৮০ শতাংশ কর্মী নারী। তাদের আয় এবং জীবনমান দুটোরই উন্নতি করেছে এটি। এখন পারিবারিক সুস্থতা রক্ষায় এবং সন্তানদের লেখাপড়ায় অনেক অর্থ খরচ করে থাকেন বাংলাদেশের নারীরা। তবেপাকিস্তানে এই চিত্র ঠিক উল্টো।
আনন্দবাজার/টি এস পি