গাজীপুরের শ্রীপুরে করোনার কারণে কাঠ ব্যবসায় ধস নেমেছে। দিনরাত করাত কলের কাঠ কাটার শোঁ শোঁ শব্দ এখন আর শোনা যায় না। নেই শ্রমিক-মালিকদের কর্মব্যস্ততা।
মহামারি করোনার প্রার্দুভাবে ধমকে গেছে কাঠ ব্যবসায়। মালিক শ্রমিকরা অসহায়ের মত ক্রেতার আশায় বসে থাকছে। করোনায় মানুষের আয় কমে যাওয়ায় উচ্চমূল্যের কাঠের তৈরি আসবাবপত্র কিনতে আগ্রহ হারাচ্ছে ক্রেতারা। ব্যবসায়ীদের কেনা কাঠ দীর্ঘসময় ধরে বাহিরে পড়ে থাকায় তা নষ্ট হচ্ছে। ফলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।
এদের মধ্যে একজন মানিক রায়হান। উপজেলার বরমী বাজারে তার কাঠের দোকান।লক্ষাধিক টাকার কাঠ নষ্ট হয়েছে বলে তিনি জানান। সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে গাছের কাঠ। কাঠের টুকরো থেকে খসে পড়ছে বিভিন্ন অংশ। ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অধিকাংশ কাঠ। তার মধ্যে আম, কদম, কড়ইসহ বিভিন্ন গাছের কাঠ রয়েছে। অকেজো এসব কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি না হওয়ায় লাকড়ি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে।
হতাশায় ভুগছেন মেসার্স মা ফার্নিচার এর মালিক মানিক রায়হান। তিনি বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে অনেক কাঠ আটকে গেছে। এখনো মানুষের চাহিদা কম, তাই বিক্রিও কমে গেছে। আসবাবপত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ না থাকায় এখানেই পড়ে কাঠ নষ্ট হচ্ছে। আমার প্রায় দেড় লাখ টাকার কাঠ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খুব দুশ্চিন্তায় আছি।
আনন্দবাজার/শাহী/মহিউদ্দিন