করোনাকালের দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে বিশ্ব অর্থনীতি। সুবাতাস লাগতে শুরু করেছে থাইল্যান্ডের অর্থ নীতিতেও। দেশটিতে প্রাকৃতিক রাবারের চাহিদা বাড়ায় বাড়তে শুরু করেছে দাম। এ ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে থাই রাবার। রাবার অথরিটি অব থাইল্যান্ডের (আরএওটি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় থাইল্যান্ড শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। গত বছর প্রাকৃতিক রাবারের বৈশ্বিক রফতানি বাণিজ্যের ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ এককভাবে জোগান দিয়েছে দেশটি।
আরএওটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে রাবারের চাহিদা হু হু করে বাড়ছে। এর জের ধরে বাড়ছে পণ্যটির দামও। চলতি মাসে থাইল্যান্ডের বাজারে রফতানিযোগ্য রাবারের দাম কেজিপ্রতি ৬০ বাথ (থাই মুদ্রা) বা ১ ডলার ৯১ সেন্টে উন্নীত হয়েছে। গত তিন বছরে থাইল্যান্ডের বাজারে কখনই রাবারের দাম এত বেশিতে ওঠেনি।
থাইল্যান্ডে উৎপাদিত প্রাকৃতিক রাবারের বেশির ভাগ টায়ার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তবে করোনা মহামারী শুরুর পর বিশ্বজুড়ে চিকিৎসাসামগ্রীর চাহিদা বেড়েছে। বিশেষত গ্লাভসের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়েছে। এর ফলে মহামারীর মধ্যেও ব্যস্ত সময় পার করছে থাইল্যান্ডের গ্লাভস তৈরির কারখানাগুলো। দেশের চাহিদা মিটিয়ে রফতানিও হচ্ছে থাই গ্লাভস। আর গ্লাভস তৈরির প্রধান কাঁচামাল প্রাকৃতিক রাবার। এ কারণে করোনা মহামারীর মধ্যেও থাইল্যান্ডে প্রাকৃতিক রাবারের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়তির দিকে রয়েছে, যা প্রভাব ফেলেছে পণ্যটির দামে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস