ঢাকা | রবিবার
২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লেবু-জাতীয় ফসলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

উৎপাদন বাড়িয়ে লেবু-জাতীয় ফসলের আমদানি নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সিলেটের আগের সেই স্মৃতিময় সুস্বাদু কমলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সিলেটে নতুন করে কমলার বাগান করতে হবে। এ কমলা ফিরিয়ে আনার জন্য বাগান তৈরির উদ্যোগ নিলে সরকারও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।

‘দেশে লেবু-জাতীয় ফসলের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে অনেক কম, যা আমদানি নির্ভর। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ কমলা, মাল্টা আমদানি করতে হয়। দেশে আমদানি করা এসব কমলা নিম্নমানের।’

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামাড়বাড়ীর আ কা মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটোরিয়ামে লেবু-জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের উদ্যোগে প্রকল্প অবহিতকরণ কর্মশালা-২০১৯ এ তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমদানি করা লেবু-জাতীয় ফলের দাম বেশি হওয়ায় সবার পক্ষে কেনা সম্ভব না। যার প্রেক্ষিতে সরকার দেশের লেবু-জাতীয় ফসল সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে দেশে লেবু-জাতীয় ফসলের উৎপাদন দিনে দিনে বাড়ছে। তবে চাহিদার তুলনায় সেটি অনেক কম। কিছু পরিমাণ লেবু রপ্তানিও হচ্ছে।

বিশেষ অতিথি কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, প্রকল্পের কার্যকারিতায় বাস্তবায়নকারী ও উপকারভোগীদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে। বছরে ১৭ কোটি টাকার কমলা ও মাল্টা আমদানি করতে হয়। আর রপ্তানি মাত্র ১০ কোটি টাকা। আমদানি নির্ভরতা কমাতে না পারলে এ প্রকল্পের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।

‘আগামীতে অন্ততপক্ষে মাল্টা যেন আমদানি না করতে হয়, এর জন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বারি মাল্টা-১ খুবই ভালো মানের মাল্টা। আমাদের কমলা ও মাল্টাতে স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জন করতে হবে এবং রপ্তানির যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সবাইকে এ লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে হবে।’

লেবু জাতীয় ফসলের জন্য নেওয়া প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৬ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যার পুরোটাই সরকারি হবে অর্থায়নে। প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই)। লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বাড়াতে দেশের সাতটি বিভাগের ৩০টি জেলার ১২৩টি উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন