আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন বেসামরিক ব্যক্তি এবং আরও ৪০ জন আহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে দেশটির কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন বুধবার রাতে আইএস যোদ্ধাদের অবস্থান লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হলেও ভুলক্রমে তা নাঙ্গাহার প্রদেশের ওয়াজির টাঙ্গি এলাকার একটি খামারের কৃষকদের ওপর চালানো হয়। খবর খালিজ টাইমসের।
অস্থিতিশীল নানগারহার প্রদেশের প্রাদেশিক পরিষদের একজন সদস্য সোহরাব কাদেরি বলেছেন, পাইন বাদাম ক্ষেতে ড্রোন ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসনে আফগানিস্তানে উৎখাত হয় তালেবান সরকার। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। গত কয়েক বছরে তালেবানের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী আইএসও আফগানিস্তানে সক্রিয় রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।
কাবুলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে অভিযানের কথা স্বীকার করলেও তাৎক্ষনিকভাবে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেননি।
প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র আতাউল্লাহ খোজিয়ানিও বিমান হামলার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সরকার এই ঘটনা তদন্ত করে দেখছে। এখন পর্যন্ত পাইন নাট খামারে হামলাস্থলের কাছ থেকে নয় জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে মার্কিন বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর সম্প্রতি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর কথা জানায় আফগানিস্তানের শসস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। তবে চলতি মাসে ওই আলোচনাকে মৃত ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তালেবান সতর্ক করে দিয়ে বলেছে,আফগান সরকার ও বিদেশি বাহিনীর ওপর হামলা তীব্র করে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনগণকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখা হবে। গত কয়েক দিনে বেশ বড় ধরনের কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে তালেবান।