ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই মাসে ৪ হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

শেয়ার বৃদ্ধি না করে বন্ড ছাড়ছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। গত দুই মাসে ৪ হাজার ১৬০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার অনুমোদন পেয়েছে ৮টি ব্যাংক ও ১ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ অনুমোদন দিয়েছে।

ব্যাংকিং খাতের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ব্যাসেল-৩ অনুসারে মূলধন বৃদ্ধি করতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে এসব বন্ডের বেশির ভাগই রূপান্তর অযোগ্য। অর্থাৎ মেয়াদি বন্ডগুলো কখনই শেয়ার রূপান্তর করা যাবে না।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দুই কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ড ইস্যু করে। প্রথমত, তারা বিনিয়োগকারীদের হাতে বেশি মালিকানা দিতে চায় না। দ্বিতীয়ত, শেয়ার ইস্যু করতে চাইলেও অনেক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের নির্ধারিত হারে শেয়ার নেই। তাদের মতে, এ প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ার অফলোডের মাধ্যমে মূলধন বাড়ালে বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হতো।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম জানান, মূলধন বাড়ানোর একটি উপকরণ হল বন্ড। যারা বন্ড কিনবে, নির্ধারিত মেয়াদের পরে বন্ডের বিপরীতে এদের সুদ দিতে হয়। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর এক ধরনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান শেয়ার ইস্যু করলে তুলনামূলকভাবে কমত।

সাম্প্রতিক সময়ে বন্ড অনুমোদনের পরিমাণ বাড়ছে। ৩ সেপ্টেম্বর বিএসইসির ৭৩৮তম কমিশন সভায় ৭১০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ৫শ’ কোটি টাকা বন্ড এবং প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের ২১০ কোটি টাকার বন্ড।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন