ঢাকা | শুক্রবার
২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্থবির বিএসইসির বিনিয়োগ শিক্ষা কর্মসূচি

স্থবির হয়ে আছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দেশজুড়ে আর্থিক স্বাক্ষরতা কর্মসূচি। ২০১৭ সালে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিটি ২০২০-২১ অর্থবছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শুরুর পরই তা গতি হারিয়েছে। মূলত উচ্চপদে বড় রদবদলের কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই আর্থিক কর্মসূচি গতি হারায়।

এর আগে এই কর্মসূচির আওতায় নেওয়া হয় পাঁচ বছরের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। বিচারক, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, ডাক্তার, প্রকৌশলী, গৃহিণী, কৃষক ও সাধারণ মানুষকে টার্গেট গ্রুপ ধরে দেশজুড়ে বিনিয়োগ শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নেয়া হয়।

২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে বিনিয়োগ শিক্ষা মেলা, বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা কনফারেন্স আয়োজন করা হয়। সর্বশেষে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ বরিশালে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিভাগীয় পর্যায়ে আর কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা সূত্রে জানা যায়, পুঁজিবাজারে শিক্ষিত বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কম। ছোট ছোট পুঁজি নিয়ে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন। আর্থিক বিষয়ে শিক্ষা না থাকায় বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলে হুজুগে বিনিয়োগ করেন। আবার স্বাভাবিক নিয়মে পতন হলেও হুজুগে বিক্রি করায় অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে পুঁজিবাজার। দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনতে দেশজুড়ে বিনিয়োগ শিক্ষা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, নানা কারণে আর্থিক শিক্ষা কর্মসূচি গতি পায়নি। নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর জমে থাকা অনেক কাজ করতে হচ্ছে। বিনিয়োগ শিক্ষা কর্মসূচির দিকে এখনো মনোযোগ দিতে পারিনি। তবে আমরা বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত বিনিয়োগকারী বাজারে আসার ওপর জোর দিচ্ছি। বাজার স্থিতিশীলতায় আর্থিক শিক্ষায় শিক্ষিত বিনিয়োগকারী খুব প্রয়োজন। নতুন উদ্যমে দেশজুড়ে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন