বাংলাদেশে কর্মরত এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের বিদেশে আয় পাঠানো সহজ করা হয়েছে। এখন থেকে এয়ারলাইন্সগুলোর প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটানোর পর অবশিষ্ট আয় বিদেশে পাঠাতে পারবে। আগেও পাঠানোর সুযোগ থাকলেও জটিলতা অনেক বেশি ছিল।
বর্তমানে এটি সহজ করে এখন থেকে টিকিট বিক্রি এবং কার্গো পরিবহন বাবদ আদায়কৃত অর্থ প্রয়োজনীয় ব্যয় সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট অর্থ বিদেশে প্রেরণযোগ্য হবে।
আগে উড্ডয়ন ছাড়া অর্থ বিদেশে প্রেরণের সুযোগ ছিল না। আদায়কৃত অর্থ বিদেশে প্রেরণের ক্ষেত্রে টিকিটের অর্থ রিফান্ড বাবদ ১০ শতাংশ অর্থ সঞ্চিতি রাখার নিয়ম ছিল।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ওই সার্কুলারের মাধ্যমে টিকিট বিক্রির সময়ে যাত্রীর নিকট থেকে ঘোষণাপত্র (পি ফরম) গ্রহণের ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ব্যবস্থা দেশি-বিদেশে সকল এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। আইএটিএ এর সদস্য এয়ারলাইন্সগুলো প্রচলিত জটিল বিবরণীর পরিবর্তে আইএটিএ বিবরণী গ্রহণযোগ্য হবে।
একইসঙ্গে শুধুমাত্র ব্যাংক বিবরণী, করাদি পরিশোধ সংক্রান্ত কাগজপত্র রেমিট্যান্স প্রেরণকালে দাখিল করতে হবে। ব্যয় বিবরণীর সঙ্গে কোনো বিল/ভাইচার দাখিলের প্রয়োজন হবে না মর্মে জানানো হয়েছে। আইএটিএ বিবরণী ছাড়া অন্যান্য সহজীকৃত ব্যবস্থা আইএটিএ এর সদস্য নয় এমন এয়ারলাইন্সের জন্যও প্রযোজ্য হবে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস