শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বোচ্চে উঠতে পারে ফিলিপাইনের চিনি উৎপাদন

বড় ধরনের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ফিলিপাইনের চিনি উৎপাদন খাতে। ২০২০-২১ মৌসুমে দেশটিতে অপরিশোধিত চিনি উৎপাদন বেড়ে চার বছরের সর্বোচ্চে উন্নীত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ফিলিপাইনের সুগার রেগুলেটরি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এসআরএ)। একই সঙ্গে বাড়তি উৎপাদনের জের ধরে ২০২০-২১ মৌসুমে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি রফতানি ১৬ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ফিলিপাইনের চিনির ২০২০-২১ উৎপাদন ও বিপণন মৌসুম। যা চলবে পরের বছরের ৩১ আগস্ট অবধি। এসআরএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য শুরু হওয়া ২০২০-২১ মৌসুমে ফিলিপাইনে সব মিলিয়ে ২১ লাখ ৯০ হাজার টন অপরিশোধিত চিনি উৎপাদন হতে পারে, যা বিদায়ী মৌসুমের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। ৩১ আগস্ট শেষ হওয়া ২০১৯-২০ মৌসুমে দেশটিতে মোট ২১ লাখ ৪৫ হাজার টন অপরিশোধিত চিনি উৎপাদন হয়েছে। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে অপরিশোধিত চিনি উৎপাদন বাড়তে পারে ৪৫ হাজার টন।

এর আগে ২০১৬-১৭ মৌসুমে ফিলিপাইনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অপরিশোধিত চিনি উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল। ওই মৌসুমে দেশটিতে মোট ২২ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি উৎপাদন হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে এসআরএ। এবারের মৌসুমে ২১ লাখ ৯০ হাজার টন অপরিশোধিত চিনি উৎপাদনের মধ্য দিয়ে চার বছর পর খাদ্যপণ্যটির সর্বোচ্চ উৎপাদন দেখবে ফিলিপাইন।

বাড়তি উৎপাদনের ফলে ২০২০-২১ মৌসুমে ফিলিপাইন থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি রফতানিতে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এসআরএ। প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০-২১ মৌসুমে ফিলিপাইন থেকে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার টন চিনি রফতানি হতে পারে। এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি বাড়তে পারে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

আরও পড়ুনঃ  নওগাঁয় হাট বাজারে মাছ ধরার নানান সরঞ্জাম বেঁচা-কেনার ধুম

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন