শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়তে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে শুরু করেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকো উপসাগরীয় অঞ্চলে হারিকেন লরার প্রভাবে উত্তোলন কমে আসা এবং করোনাকালীন মন্দার ধাক্কা সামলে বিশ্বজুড়ে চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় টানা পাঁচ মাস ধরে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম চাঙ্গা রয়েছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম বাড়ছে টানা চার মাস ধরে।

সর্বশেষ কার্যদিবসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। দিন শেষে নভেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৬ ডলার শূন্য ৯ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ২৮ সেন্ট বেশি। এদিন ডব্লিউটিআইয়ের দাম বেড়েছে ব্যারেলে প্রতি ১৮ সেন্ট। দিন শেষে নভেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ৪৩ ডলার ১৫ সেন্টে দাঁড়িয়েছে ডব্লিউটিআইয়ের দাম, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে টানা পাঁচ মাস ধরে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। গত ৫ আগস্ট প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৪৬ ডলার ২৩ সেন্টে উঠেছিল। মার্চের পর এটাই ছিল জ্বালানি পণ্যটির সর্বোচ্চ দাম। অন্যদিকে টানা চার মাস ধরে ডব্লিউটিআইয়ের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ২৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জ্বালানি পণ্যটির দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৩ ডলার ৭৮ সেন্টে বিক্রি হয়। মূলত হারিকেন লরার কারণে উত্তোলন সীমিত হয়ে আসায় সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি পণ্যটির বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হারিকেন লরার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকো উপসাগরীয় অঞ্চলের কূপগুলো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন ৮২ শতাংশ কমে এসেছে। অন্যদিকে করোনা মহামারীর কারণে চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদায় যে পতন দেখা দিয়েছিল, তা ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। এ পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।

আরও পড়ুনঃ  হিজলায় এমপি পঙ্কজ অনুসারীর ৩৮ গরীবের চাল চুরি

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন