ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়া থেকে সাগর পথে আসছে পরমাণু চুল্লিপাত্র ও জেনারেটর

বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য চুল্লিপাত্র ও জেনারেটর। রাশিয়া থেকে সাগর পথে এই চুল্লিপাত্র ও জেনারেটর বাংলাদেশে আসবে।  চলতি বছরের শেষ নাগাদ ভারী যন্ত্র দুটি দেশে পৌঁছাবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাতা রুশ কোম্পানি রোসাটমের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩৩৩ দশমিক ৬ টন ওজনের চুল্লিপাত্র ও ৩৪০ টন ওজনের স্টিম জেনারেটর বিশেষ স্বয়ংক্রিয় পরিবহনে প্রথমে ভোলগোদোনস্কে সিমলিয়ানস্ক জলাধারের একটি জেটিতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে এগুলো নভোরোসিয়েস্কে সিমলিয়ান্সক জলাধারের জেটি হয়ে কৃষ্ণসাগর ও সুয়েজখাল অতিক্রম করে চলতি বছরের শেষে বাংলাদেশে পৌঁছাবে।

অটোমেনারগোম্যাশের মহাপরিচালক আন্দ্রেই নিকিপেলোভ বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চুক্তি অনুযায়ী রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম চুল্লির সরঞ্জাম পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। এসব জিনিস ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ অতিক্রম করে এই বছরের শেষের দিকে গন্তব্যে পৌঁছাবে।

রোসাটম জানায়, ভিভিইআর-১২০০ চুল্লিবিশিষ্ট পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ শক্তিশালী। সে কারণে এ ধরনের পরমাণু কেন্দ্র থ্রি প্লাস জেনারেশনের শ্রেণিভুক্ত। নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপারেটরের সাহায্য ছাড়াই কাজ করতে পারে। এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগ চলে গেলেও এট সচাল থাকে।

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের জন্য অটোমেনারগোম্যাশ ১৪ ধরনের সরঞ্জাম প্রস্তুত করবে। এর মধ্যে রয়েছে চুল্লিপাত্র, স্টিম জেনারেটরের যন্ত্রাংশ, প্রধান সঞ্চালন পাইপলাইন, চাপ কমানোর যন্ত্র, জরুরি শীতলীকরণ ব্যবস্থা ও নিষ্ক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রোসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশন।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস 

সংবাদটি শেয়ার করুন