ঢাকা | শনিবার
১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়াতে তৎপর বাংলাদেশ ব্যাংক

পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়াতে তৎপরতা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পর্ষদ সদস্যরা গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনূসুর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক সালমা নাসরিন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. শাকিল রিজভী।

করোনার কারণে দেশের পুঁজিবাজারের লেনদেন বন্ধ ছিল ৬৬ দিন। এ সময়ে বন্ধ ছিল দেশের সব ব্রোকারেজ হাউজও। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রোকারেজ হাউজগুলো কর্মীদের বেতন-ভাতাও ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারেনি। ব্রোকারেজ হাউজের কর্মীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করার জন্য সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণসহায়তা চেয়েছিল ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)। গতকালের সভায় ডিএসইর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

এর জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ দেয়ার খাতগুলো সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। ডিএসই এ দাবি অর্থ মন্ত্রণালয় ও সরকারের কাছে জানাতে পারে। সরকার যদি ব্রোকারেজ হাউজকে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আনার নির্দেশনা দেয়, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক সঙ্গে সঙ্গেই তা বাস্তবায়ন করবে।

এসময় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক তৎপরতা বাড়িয়েছে। বেশকিছু ব্যাংককে সাম্প্রতিক সময়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাজারের ইতিবাচক ধারা ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতাই করা হবে।

সভা শেষে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক জানান, মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারবান্ধব কিছু ঘোষণা দেয়ার কারণে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়েছি। সরকার, মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ ব্যাংক, স্টক এক্সচেঞ্জ ও স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতায় বর্তমানে পুঁজিবাজার একটি পর্যায়ে এসেছে। এটিকে কীভাবে স্থিতিশীল রাখা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখতে অর্থবাজারের সঙ্গে একটি কার্যকর সমন্বয় থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে সরকারের ট্রেজারি বন্ডগুলোকে লেনদেনযোগ্য করার বিষয়ে অনেকদিন থেকেই আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কিছু কাজ বাকি ছিল, সেগুলো চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জ মিলে একটি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডিএসইর মধ্যে একটি নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট (এনডিএ) স্বাক্ষরিত হবে।

পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে আমাদের সহযোগিতা দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। বর্তমানে বিএসইসির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি কার্যকর সমন্বয় আমরা দেখতে পাচ্ছি। আশা করি, সামনের দিনগুলোয় এটি অব্যাহত থাকবে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন