ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈশ্বিকভাবে ব্ল্যাক টি উৎপাদন কমেছে ৮ শতাংশ

করোনাভাইরাস মহামারিতে প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক ব্ল্যাক টি উৎপাদনে। একমাত্র কেনিয়া বাদে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকাসহ বেশির ভাগ দেশে পানীয় পণ্যটির উৎপাদনে মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ব্ল্যাক টির বৈশ্বিক উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৮ শতাংশেরও বেশি।

চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে বিশ্বজুড়ে ৮৩ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ কম। ২০১৯ সালের একই সময়ে পণ্যটির বৈশ্বিক উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯০ কোটি ৬১ লাখ কেজি। এক বছরের ব্যবধানে ব্ল্যাক টির বৈশ্বিক উৎপাদন কমেছে ৭ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার কেজি।

বছরের প্রথম ছয় মাসে ভারতে সব মিলিয়ে ৩৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ কম। ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশটিতে পানীয় পণ্যটির উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৪৭ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার কেজি।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে শ্রীলংকায় পানীয় পণ্যটির উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। এই সময়ে দেশটিতে ১২ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপন্ন হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে দেশটিতে মোট ১৫ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছিল।

বাংলাদেশে বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্ল্যাক টি উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমেছে। এই সময়ে দেশে ২ কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপন্ন হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে দেশে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশে ব্ল্যাক টির উৎপাদন কমেছে ৬১ লাখ কেজির বেশি।

করোনায় বেশির ভাগ দেশে পানীয় পণ্যটির উৎপাদন কমে এলেও একমাত্র ব্যতিক্রম কেনিয়া। বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশটিতে ৩০ কোটি ১৬ লাখ ১০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশটিতে মোট ২১ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে ব্ল্যাক টির উৎপাদন বেড়েছে আট কোটি কেজির বেশি।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন