সম্প্রতি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে মাছ আমদানি-রফতানি। গত তিন অর্থবছরে বন্দরটি দিয়ে মাছ আমদানি হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ ৬৮ হাজার ৯১৮ কেজি, যার মূল্য ৯৫ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৭ ডলার এবং রফতানি হয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ৬৮২ কেজি, যার মূল্য ২ কোটি ৯৯ লাখ ৮৯ হাজার ২০৫ ডলার। কিন্তু করোনার কারণে গেল এপ্রিল এবং জুনে বাংলাদেশ থেকে কোনো মাছ রফতানি করা হয়নি।
শার্শা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল হাসানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আমদানীকৃত মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, কাতলা, সামুদ্রিক ও স্বাদু পানির মাছ। আর রফতানির মধ্যে রয়েছে পাবদা, হিমায়িত চিংড়ি, কার্প, ভেটকিসহ অন্যান্য মাছ।
এই ব্যাপারে বেনাপোলের ফিশারিজ কোয়ারেন্টিন অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভারতে মাছ রফতানি হয়েছে ৩২ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪ কেজি, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩৪ লাখ ৮৩ হাজার ৬৩০ কেজি এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে রফতানি হয়েছে ৫২ লাখ ৪৫ হাজার ৮ কেজি। একই সাথে ভারত থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৫ লাখ ১৬ হাজার ৩২৫ কেজি, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৬৭৮ কেজি ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৮ লাখ ২৩ হাজার ৯১৫ কেজি মাছ আমদানি হয়েছে।
তবে ভারতে পাবদা মাছের চাহিদা থাকায় যশোর এবং আশপাশের অঞ্চলে কয়েক বছর ধরে এটির চাষ বাড়াতে শুরু করেছে। দেশটিতে মাছ রফতানি করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান যশোরের শার্শা উপজেলার সততা ফিশ।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আবদুল কুদ্দুস বলেন, তারা ভারতে পাবদা, টেংরাসহ অন্যান্য মাছ রফতানি করে। বিশেষ করে সে দেশে পাবদা মাছের চাহিদা অনেক বেশি।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমাদের দেশ থেকে মূলত পাবদা, গুলশা, টেংরা এবং পাঙ্গাশ মাছ রফতানি হয়। এর মধ্যে পাবদা মাছের চাহিদা বেশি। মোট রফতানির ৪০ শতাংশ যায় পাবদা। তবে মূল্য কম হওয়ার কারণে ভারত থেকে বেশি রুই-কাতলা মাছ আমদানি হচ্ছে। এর থেকে আমাদের দেশের রুই মাছের স্বাদই ভালো। তবে তিনি মনে করেন, ভারত থেকে মাছ আমদানির প্রয়োজন হয় না, বরং এটি বন্ধ হলে মাছ দেশের চাষীরা লাভবান হবেন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে