শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় কমেছে চা বিক্রি, মূল্য কমেছে ৪৭ শতাংশ

করোনাভাইরাসের কারণে বিক্রি কমে যাওয়ায় কমে গেছে চায়ের দাম। গতবছরের তুলনায় এবার চায়ের দাম কমেছে ৪৭ শতাংশ। তাই ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং চলতি মূলধন জোগানে কঠিন বাধার মুখে পড়েছে চা শিল্প। এ সংকট থেকে উত্তরণে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সাড়ে চার শতাংশ সুদে এ শিল্পকেও চলতি মূলধন ঋণ দেয়ার সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশের চা শিল্পের ওপর কোভিড-১৯-এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দেশের হোটেল, রেস্তোরাঁ, চায়ের স্টল, দোকানপাট ও যানবাহনে জনগণের চলাচল সীমিত হওয়ায় চায়ের অভ্যন্তরীণ ভোগের পরিমাণ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে নিলামে চায়ের বাজার মূল্য নিম্নমুখী হওয়ায় বিগত নিলামসমূহে বিক্রয়ের জন্য উঠানো অনেক চা অবিক্রিত রয়ে গেছে।

করোনাভাইরাস প্রকোপের কারণে চট্টগ্রামের সাপ্তাহিক চা নিলাম কেন্দ্রে এপ্রিলের ৪৬তম ও ৪৭তম সেল বন্ধ ছিল। এতে অনেক চা অবিক্রিত থেকে যাওয়ায় চায়ের মূল্য বিগত বছরের তুলনায় ৪৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে মর্মে বাংলাদেশ চা বোর্ড জানিয়েছে।

এ অবস্থায় দেশীয় চা সংসদ এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের সুপারিশ পর্যালোচনায় চা শিল্পের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সৃষ্ট আর্থিক সমস্যা নিরসনে অন্যান্য শিল্পের ন্যায় চা শিল্পে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ ভর্তুকি প্রদানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

২০১৯ সালে চা শিল্পে ১৬৫ বছরের ইতিহাসের রেকর্ড ভেঙে দেশে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়। গতবছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০ মিলিয়ন বা আট কোটি কেজি। তবে বছর শেষে উৎপাদন হয় ৯৬ দশমিক ০৭ মিলিয়ন কেজি বা ৯ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার কেজি।

আরও পড়ুনঃ  করোনা আশঙ্কায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তহাট বন্ধ

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন