করোনারা পরবর্তী রফতানি বাণিজ্যের সুযোগ গ্রহণ করতে দূতাবাসগুলোকে কাজ করতে হবে, সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমন কথা বলেছেন। এজন্য নানা দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সৌদি আরব, কুয়েত এবং উজবেকিস্তান বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। এখানে বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাণিজ্যের সুযোগ নিতে হবে।
গতকাল রবিবার, ঢাকায় সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী, কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আসিক এবং উজবেকিস্তানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সাথে বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
এই ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। রাষ্ট্রদূতদের বাণিজ্য প্রসারে অবদান রাখতে হবে। করোনার এর কারণে পরিবর্তিত বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে, এ সুযোগকে দক্ষতার সাথে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির মন্দাবস্থার মধ্যেও গেল বছরের জুলাই থেকে চলতি বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২৩.০৬ মিলিয়ন বেশি হয়েছে। রাষ্ট্রদূতদের গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে দেশের রফতানি বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোর নির্মাণকাজ খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। এগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে হবে।
উল্লেখ্য, গেল অর্থবছরে সৌদি আরবে রফতানি হয়েছে ২৬২.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং জুলাই থেকে মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৭৯৬.৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। কুয়েতে রফতানি হয়েছে ২৩.৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং জুলাই থেকে মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৩৮২.১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। উজবেকিস্তানে রফতানি হয়েছে ১৯.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে