ঢাকা | বুধবার
১৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাদ্য সুরক্ষায় ২০২ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিবে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশকে ২০ কোটি ২০ লাখ টাকা (২০২ মিলিয়ন ডলার) ঋণ দিবে বিশ্বব্যাংক। দেশের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই রি ঋণ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের বোর্ড এই ঋণ অনুমোদন করে।

রবিবার (০২ আগস্ট) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৫ লাখ পরিবারের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় কৌশলগত শস্য মজুদ সক্ষমতা বাড়িয়ে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টনে উন্নীত করার লক্ষ্যে গৃহীত আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পে অর্থায়নের অংশ হিসেবে এই ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পটি বাংলাদেশকে জলবায়ুজনিত দুর্যোগ বা বর্তমানের কভিড-১৯ মহামারির মতো দুর্যোগের সময়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

এতে বলা হয়, এই প্রকল্প চাল ও গম সংরক্ষণের জন্য আশুগঞ্জ, মধুপুর ও ময়মনসিংহে নির্মাণাধীন তিনটি সাইলোসহ দেশের ৮ জেলায় ৮টি স্টিলের সাইলো নির্মাণে সহায়ক হবে। বিশ্বব্যাংকের ঋণের অর্থ নির্মাণাধীন তিনটি সাইলোসহ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে তিনটি চালের সাইলো এবং চট্টগ্রাম ও মহেশ্বরপাশায় দুটি গমের সাইলো নির্মাণে ব্যয় করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সরকারি খাদ্য সংরক্ষণাগারে খাদ্য শস্য মজুদের ক্ষেত্রে অপচয় অন্তত ৫০ শতাংশ কমবে এবং একইসঙ্গে নতুন মজুদ করা খাদ্যের পুষ্টিমান বর্তমানের ৬ মাসের পরিবর্তে ২ বছর পর্যন্ত বজায় থাকবে। বিশ্বব্যাংকের দেয়া এই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৩০ বছর। এর ৫ বছর থাকবে গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে। অর্থাৎ এই ৫ বছরে কোনো সুদ গুনতে হবে না বাংলাদেশকে।

সংস্থাটির বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ আনিস বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠী গ্রামীণ অঞ্চলে বাস করে। জলবায়ুর ঝুঁকি এসব মানুষের জীবন-জীবিকা ও খাদ্য সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। আধুনিক সাইলো খাদ্য নিরাপত্তাতে নিশ্চিত করতে পারে। বর্তমানে করোনা মহামারির মতো সঙ্কটের সময় খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন