সাম্প্রতিক সময়ের মহামারি করোনা ও ভয়াবহ বন্যার কারণে অর্থনৈতিক চাপে পড়েছে দেশের অধিকাংশ মানুষ। এর মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। করোনায় একদিকে মানুষ কোরবানি দেয়ার সক্ষমতা হারিয়েছে। অন্যদিকে বন্যার কারণে আর্থিক সংকটে পড়া অনেকেই কোরবানির পশু বিক্রি করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। এ অবস্থায় কোরবানির পশু বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার অনেকে কোরবানির পশু বিক্রিই করতে পারছেন না।
বর্তমানে ঢাকা শহরে এমন অবস্থা থেকে বিভিন্ন কৃষক, ব্যাপারীকে দেখা যাচ্ছে রাজধানীর পশুর হাটে কোরবানির পশু উপযুক্ত দামে বিক্রি করতে না পেরে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) মধ্যাহ্ন থেকে অপরাহ্ণ পর্যন্ত রাজধানীর ফার্মগেটে এরকম ভাসমান অবস্থায় কোরবানির ছাগল বিক্রি করতে দেখা গেছে অনেক ব্যাপারীকে।
চাষি ও ব্যাপারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পশুর হাটে প্রত্যাশিত দামে ছাগল বিক্রি করতে পারছিলেন না। তারা রাজধানীর ফার্মগেটসহ বিভিন্ন গলিতে ঘুরে ঘুরে ছাগল বিক্রি করছেন।
নরসিংদী থেকে রাজধানীতে ছাগল নিয়ে আসা ব্যাপারী মো. ছবি বলেন, তিনদিন আগে চারটা ছাগল এনেছিলাম। এখন পর্যন্ত মাত্র দুইটা বিক্রি হয়েছে। যে দামে কিনেছি, সেই একই দামে বিক্রি করেছি। অন্যদিকে হাটে ভালো দাম উঠছে না দেখে নাখালপাড়ার পশুর হাট থেকে দুটি ছাগল নিয়ে ফার্মগেটে চলে আসি। এখন ফার্মগেট মোড়সহ আশপাশের রাস্তা ও গলিতে ঘুরে ঘুরে ছাগল দুটা বিক্রির শেষ চেষ্টা করছি।
একই সমস্যা নিয়ে আরেক ব্যাপারী রতন মিয়া জানান, কিছুদিন দিন আগে ৫-৬টা ছাগল নিয়ে ঢাকায় এসেছি। সেগুলো বিভিন্ন বাজারসহ অলিগলি ঘুরে বিক্রি করেছি। পরে আরও কিছু ছাগল এনেছি। এখন সেগুলোও ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছি।
আনন্দবাজার/শাহী