সম্প্রতি মাছ নিয়ে বৈশ্বিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ এন্ড অ্যাকুয়াকালচার ২০২০’ নামে প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবেদনটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাদু পানির উন্মুক্ত জলাশয় থেকে মাছ আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। ২০১৮ সালে আহরিত মাছের পরিমাণ ছিল ১.২২ মিলিয়ন টন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চাষকৃত মাছ উৎপাদনে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এই উৎস থেকে ২০১৮ সালে উৎপাদিত মাছের পরিমাণ ২৪ লাখ পাঁচ হাজার ৪০০ টন। ২০১৭ সাল থেকে এ অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।
জানা যায়, উৎপাদনে শীর্ষে থাকলেও সেরা দশ রফতানিকারক দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ। তবে রফতানিতে পিছিয়ে থাকলেও গত পাঁচ বছর ধরে দেশে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে মাছের উৎপাদন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ৩৬ লাখ ৮৪ হাজার টন, ২০১৫-১৬ তে ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার টন, ২০১৬-১৭ তে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার টন, ২০১৭-১৮ তে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার টন এবং ২০১৮-১৯ সালে ৪৩ লাখ ৮১ হাজার টন মাছ উৎপাদন হয়েছে।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত ভারগো ফিস এন্ড এগ্রো প্রসেস লিমিটেড এর এজিএম, সৈয়দ সাইদুজ্জামান জানান, দিন দিন মাছের উৎপাদন বাড়ছে। এমন অবস্থায় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস খাত নিয়ে দেখা দিচ্ছে অপার সম্ভাবনা। আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে দেশেই এখন গড়ে উঠছে ফিস প্রসেসিং প্লান্ট। তবে সেই সম্ভাবনা বাস্তবে রুপ নেয়াটাই এখন বড় চেলেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে এসব প্রসেসিং প্লান্টের জন্য। মাছের মানের প্রশ্নে শুরুতেই হোচট খাচ্ছেন উদ্দোক্তারা।
মৎস অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী , জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস খাতের অবদান জিডিপিতে ৩.৫০ শতাংশ ও কৃষিখাতে অবদান ২৫.৭১ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৯৩৫ টন মাছ ও মৎস্যজাত দ্রব্য রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে চার হাজার ৩০৯.৯৪ কোটি টাকা।
আনন্দবাজার/টি এস পি