দীর্ঘ ৪ বছর নিজের সন্তানের মত লালন পালন করে কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ২০ মণ ওজনের একটি গরু। কিন্তু ক্রেতা না পেয়ে চিন্তায় পড়েছেন ক্ষুদ্র খামারি সুলতান।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কুঠিরডাঙ্গা এলাকার ক্ষুদ্র খামারি শাহাসুলতান ও তার স্ত্রী কুরবানী দেয়া ব্যক্তির নিকট বিক্রি করার উদ্যেশ্যে অনেক আশা নিয়ে ফিজিয়ান জাতের এক ষাড় গরুকে দীর্ঘ ৪ বছর লালন-পালন করে বড় করেছেন। গরুটির নাম রেখেছিলেন আল্লাহর দান। ৫ ফিট উচ্চতা ও ৯ ফিট দৈর্ঘ্যতার সাদা-কালো রঙ্গের ২ শিং এবং ৬ দাতের গরুটির বর্তমান ওজন প্রায় ২০ মণ। যার বাজার মুল্য দাবি করেছেন খামারী ৬ লাখ টাকা।গরুটি এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকার মানুষজন প্রতিনিয়তই খামারীর বাড়িতে ভিড় করে থাকেন।
তবে আসন্ন কুরবানির ঈদে গরুটি তিনি বিক্রি করতে চাইলেও বর্তমান দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ক্রেতা সংকটের কারণে গরুর মালিক সুলতান রয়েছেন দুঃচিন্তায়।
সুলতান জানান, দীর্ঘ ৪ বছর যাবত গরুটিকে অনেক আশা নিয়ে নিজের সন্তানের মত লালন-পালন করে বড় করেছি। গরুটিকে কুরবানি দেয়া ব্যক্তির নিকট বিক্রির করব বলে অনেক অর্থনৈতিক সমস্যাতেও তা অন্যকারো নিকট বিক্রি করিনি। গরুটি ৪ বছর লালন-পালন করতে গিয়ে আমি অনেক ঋনগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আসন্ন কুরবানির ঈদে গরুটি বিক্রি করতে না পারলে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হব। গরুটির মুল্য আমি ৬ লাখ টাকা আশা করলেও যে কোনো ব্যক্তি আলোচনা সাপেক্ষে ক্রয় করতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, আমার মত ক্ষুদ্র খামারিরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে তিল তিল করে সন্তানের মতই লালন-পালন করে গরু বড় করে থাকেন সমাজের বিত্তবানরা ন্যায্য মুল্য দিয়ে তা কুরবানির উদ্যেশ্যে ক্রয় করবেন বলেই। দেশের যে কোনো প্রান্তের ও প্রবাসী ব্যক্তিরা আমার রোগ-বালাই মুক্ত গরুটি ক্রয় করতে চাইলে সরাসরি আমার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে(০১৭৪৫০৮১৫১২)যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করছি আমি। এছাড়াও প্রয়োজনে গরুটি অনলাইনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেও যে কেউ দর করে তা ক্রয় করতে পারবেন।
আনন্দবাজার/মহিনুল