পাট একটি বর্ষাকালীন ফসল। বাংলাদেশে পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়ে থাকে এবং পাটই বাংলদেশের শত বর্ষের ঐতিহ্য বাহন করে আসছে যুগ যুগ ধরে।
সাধারনত দুই ধরনের পাট বাংলাদেশে দেখতে পাওয়া যায়, একটি (সাদা পাট) ও অন্যটি (তোষা পাট)। বিগত বছর গুলোতে কৃষকরা পাট চাষে তেমন এটকা সফলতা না পেলেও চলতি পাট মৌসুমে রায়গঞ্জ উপজেলায় পাট চাষে ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন পাট চাষিরা। আর এ জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগের সমন্নয়ে কৃষকরা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন৷
রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের কোদলাদিগর এর পাট চাষি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ও রায়গঞ্জ উপজেলার তেলিজানা গ্রামের কৃষক মোঃ গোলাম মোস্তফার সাথে সাথে কথা বলে জানা যায়, আমাদের এখানে বিল এলাকার কয়েকটা মাঠে পাট চাষ করে টানা কয়েকবারের বৃষ্টিতে আমাদের পাট ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে৷ এবারও পাট চাষ করেছি। আশা করছি এবার পাট চাষে অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।
তারা আরো বলেন, এ বছর বছর পাট চাষে প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে সব মিলিয়ে তিন হাজার থেকে পয়ত্রিশ’শ টাকা। আর এখন দামও আগের থেকে ভাল। পাটের বাজার চাহিদা থাকলে এবং ভালো দাম পেলে আমাদের সোনালী স্বপ্ন পূরণ হবে। এছাড়া রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পাটের ভাল দাম ও গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রতিনিয়ত কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন৷এ বছর রায়গঞ্জ উপজেলায় পাট অধিদপ্তর থেকে প্রায় ৩ হাজার কৃষকের মাঝে ১ কেজি পাট ও ১২ কেজি সার বিনামূল্যে বিতরণ করেন।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম দৈনিক আনন্দবাজার এর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি কে জানান, রায়গঞ্জ উপজেলায় এ বছর মোট ৭৫০ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে এবং তারা আশা করছেন প্রায় ১৬০০ মেট্রিকটন পাট উৎপাদন হবে।
তিনি আরো বলেন গত বছরের তুলনায় এ বছর পাট চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাটের মান ভালো হলে, দামও বেশি পাওয়া সম্ভব বলে জানান তিনি৷ তিনি আরো জানান করোনা ভাইরাসের আগ্রাসনের মধ্যেও পাট চাষি সহ সকল কৃষকের পাশে থেকে কাজ করছেন রায়গঞ্জ উপজেলা কৃৃষি অফিস।
আনন্দবাজার/শাহী/আবির