ঢাকা | শনিবার
১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গরুর দাম কমলেও রাজধানীতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাংস

মহামারি প্রভাবে কোরবানি ঈদে ব্যাপক হারে কমেছে গরুর দাম। তবে গরুর দাম কমলেও ক্রেতা পাচ্ছেন না খামারিরা। এমন পরিস্থিতিতেও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। এছাড়া কোনো কোনো জেলার তুলনায় ঢাকায় প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে মাংস।

ঢাকার মাংস ব্যবসায়ীরাও বলেছেন, বর্তমানে গরুর দাম বেশ কম। কিন্তু মহামারি করোনার মধ্যেও পশুর হাটে চাঁদাবাজি থেমে নেই। যে কারণে গরুর দাম কমলেও মাংসের কমছে না। তবে চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে গরুর মাংস ৩৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা সম্ভব।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০-৬০০ টাকায়। রোজার ঈদের (ঈদুল ফিতর) আগে থেকেই এমন চড়া দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, দেশের বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে। কোনো কোনো ব্যবসায়ী মাইকিং করে গরুর মাংসের কেজি ৪০০ টাকাতেও বিক্রি করছেন।

যাত্রাবাড়ীর ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, ‘আমরা নিরুপায় হয়ে গরুর মাংস ৫৮০ টাকায় বিক্রি করছি। দাম বেশি হওয়ার কারণে এখন বিক্রি তেমন নেই। বিক্রি না থাকায় কোনো কোনো ব্যবসায়ী ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন।’

এদিকে হাট পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত যেখানে যেখানে হাট শুরু হয়েছে, সেখানে শুধু পশু বিক্রেতারাই উঠছেন। হাজার হাজার পশু উঠছে হাটে, কিন্তু ক্রেতা নেই।

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম  জানান, ‘বর্তমানে গরুর দাম কম। কিন্তু হাটে চাঁদাবাজি বন্ধ হচ্ছে না। এই চাঁদাবাজির সঙ্গে হাট ইজারাদাররা জড়িত। এই চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে গরুর মাংস ৩৮০ টাকা বা তারও কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হত।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন