আবারো চীনের রফতানি পণ্যে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করলো ট্রাম্প প্রশাসন। জবাবে মার্কিন পণ্যে ৫ ও ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করেছে চীন। এদিকে আসছে অক্টোবর এবং ডিসেম্বরে চীনা আরো অনেক পণ্যে শুল্কারোপ করার ঘোষণাও দিয়েছেন ট্রাম্প। এমনিতেই দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ হচ্ছে না কোন বৈঠক, তার ওপর উভয় দেশের নতুন করে শুল্কারোপের ঘটনায় আরো বৈরি অবস্থানে চীন-রুশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক। দুই দেশের এমন পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে উদ্বেগ জানিয়েছে আইএমএফ।
‘যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে ক্ষমতাধর হওয়ার চর্চা করা উচিত, স্কুলের বাচ্চাদের খেলার মতো নয়। বিশ্বের সুপার পাওয়ার এই দেশকে অন্য দেশের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে। তাহলেই যুক্তরাষ্ট্র নিজের অবস্থান ফিরে পাবে।’ রোববার চীনা পণ্যে আবারো যুক্তরাষ্ট্র শুল্কারোপ করলে ক্ষোভে এমন মন্তব্য করে দেশটির একটি জাতীয় সংবাদ সংস্থা।
গতকাল চীনা ১১ হাজার ২শ’ কোটি ডলার মূল্যের রফতানি পণ্যে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর করে ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া পহেলা অক্টোবর থেকে ২৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শুল্ক ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। আবার ১৬ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে ১৫ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত নিলেও বড়দিনের কেনাকাটা উপলক্ষে পরে তা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেন ট্রাম্প। এ শুল্ক আরোপ করা হলে শুল্কের আওতায় পড়বে চীন থেকে আমদানি করা সব পণ্য।
ডিসেম্বরে শুল্কারোপ কার্যকর হলে এ নিয়ে চীনা মোট ৫৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শুল্কারোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। ব্যবসায়ীরা শুল্কারোপের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে ট্রাম্প বলেন, দেশের ব্যবসায়ীদের ভুল ব্যবস্থাপনায় তারা ভুগছেন। পাশাপাশি মার্কিন ফার্ম থেকে জোরপূর্বক প্রযুক্তি পণ্য চীনে স্থানান্তর করা, চীনা কোম্পানিকে ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেইসাথে যুক্তরাষ্ট্রও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বিকল্প বাজার খুঁজছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বলছে, এ বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ক্ষতিগ্রস্ত করবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশকেও