আমিষ-নিরামিষ সব ধরণের রান্নায় টমেটো ব্যবহার করা যায়। আবার এটি খাওয়া যায় কাঁচাও। করোনা কালীন সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত টমেটো খাওয়া উচিত।
আমেরিকার আর্কাইভ অব বায়োফিজিক্স অ্যান্ড বায়োকেমিস্ট্রির গবেষণা জানায়, টমেটোতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। যা মুক্ত মূলকের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে। এছাড়া টমেটোতে ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম। একটি মাঝারি আকারের টোম্যাটোতে থাকে মাত্র ২৫ ক্যালরি। টমেটো ফাইবার সমৃদ্ধ একটি সবজি। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১২, ফোলেট, ক্রোমিয়াম এসবই থাকে এতে।
এছাড়া টমেটোতে থাকে নানা রকমের ক্যারটিনয়েড। লাইকোপেন এবং বিটা-ক্যারোটিন। এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসগুলি ক্রনিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। টমেটোতে রয়েছে পটাসিয়াম। মাঝারি আকৃতির টমেটোতে থাকে ৩০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম। এক কাপ টমেটোর রসে যার পরিমাণ ৫৩৪ মিলিগ্রাম। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং পেশীর কার্যকলাপের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে এই সবজির।
জার্নাল অব দ্য ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট জানায়, টমেটতে থাকা প্রস্টেট, ফুসফুস, পাকস্থলী, কোলন, রেক্টাম, খাদ্যনালী, মুখগহ্বর, স্তন, সার্ভিক্সের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
এছাড়া টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, কোলনের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
আনন্দবাজার/টি এস পি