ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবজিসহ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

সম্প্রতি সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মুূল্যও। সব ধরনের শাক আগের মূল্যেই বিক্রি করতে দেখা গেলেও বেড়েছে কাঁচামরিচ, মুলা, লেবু, লাউ এবং জালি কুমড়ার দাম। সেইসাথে গাজর এবং টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।

বর্তমানে প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ও উস্তা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কচুর লতি (ছোট) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, (বড়) ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৮০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৩০ টাকা। ছোট আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।

মূল্য অপরিবর্তিত আছে কলা, বড় কচু, পুদিনা পাতা, ধনিয়া পাতা এবং মিষ্টি কুমড়ার মূল্য। এসব বাজারে প্রতি আঁটি  কচুর শাক বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অপরদিকে গরু এবং খাসির মাংসের মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। এসব বাজারে কেজি প্রতি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, মহিষের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা ও বকরি ৭৫০ টাকা।

এসব বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। খোলা সয়াবিন (লাল) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা (সাদা) সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা লিটার। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার।

বর্তমানে প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজি, মিনিকেট পুরান ৬০ টাকা, বাসমতি ৬০ থেকে ৬২ টাকা, গুটিচাল ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, পায়জাম চাল ৪৬ টাকা, স্বর্ণ ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, আটাশ ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে, আতপ চাল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা, সরকারি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা, এক সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, পাইজাম ৪০ টাকা, প্রতিকেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা।

এ ব্যাপারে হুমায়রা নামে মিরপুর কাঁচা বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, এখন সবজির সিজন না হওয়ায় সব কিছুর মূল্য বাড়তি। পাইকারি বাজারে বাড়তি দাম হলে আমাদের এখানে মূল্য বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বাজারে সবজির সরবরাহ বেশি হলে মূল্য কমে আসবে বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন